দুই লাখ ১২ হাজার টাকা কর দিলেন অর্থমন্ত্রী

  28-11-2016 08:31PM

পিএনএস: গত অর্থবছর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মোট আয় ছিল ৩৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তবে এর মধ্যে করযোগ্য আয় ছিল ছিল ২০ লাখ ১১ হাজার টাকা। এই আয়ের ওপর মোট আয়কর হয় দুই লাখ ১২ হাজার ৬১১ টাকা। ।এছাড়া কর বহির্ভুত আয় ছিল ১৩ লাখ ৩৩ হাজার।

জাতীয় রাজস্ব রোর্ডে অর্থমন্ত্রী তার বার্ষিক আয়-ব্যয়ের এই হিসাব দাখিল করেছেন অনলাইনে। দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বসেই এই রিটার্ন দাখিল করেন মন্ত্রী।

কারও বার্ষিক আয় আড়াই লাখ টাকা হলেই তাকে সরকারকে হিসাব দিতে হয়। এই হিসাবকে রিটার্ন বলে। প্রতি অর্থবছরের পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কর অঞ্চল বা মেলায় দেয়ার সুযোগ আছে। তবে চলতি বছর অনলাইনে রিটার্ন দাখিল শুরু হয়েছে। প্রথম বছরই এই সুবিধা নিলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রীর সম্পদের হিসাব
আয়কর বিবরণী অনুযায়ী তিনি গত আট বছরে আয় করেছেন তিন কোটি তিন লাখ ৪২ হাজার ৭৪০ টাকা। এই সময়ে তার আয় বেড়েছে ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫০ টাকা।

সম্পদের তুলনায় মন্ত্রীর করযোগ্য আয় কম কেন-এমন প্রশ্নেরও জবাব দেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘আমার অধিকাংশ সম্পদ অর্জন করেছি বিদেশে থাকার সময়। যে আয় কর যোগ্য নয়।’

রাজস্ব বোর্ডের আইন অনুযায়ী কেউ বিদেশি মুদ্রায় আয় করলে তিনি আয়কর রেয়াত পান। এই বিষয়টির উল্লেখ করে মুহিত বলেন, ‘বিদেশ থেকে এসব অর্থ আয় করার কারণে এই সুযোগ আমি পেয়েছি।’

অর্থমন্ত্রী নিজে আয়কর বিবরণী প্রকাশ করেছেন। অন্য মন্ত্রীদেরকেও এভাবে হিসাব প্রকাশের কথা বলবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ‘কর দেয়াটা ব্যক্তিগত বিষয়। এটি প্রকাশের কথা আমি সবাইকে বলতে পারি না। বলা উচিৎও না। তবে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার শুরুতে আমি বলেছিলাম আমার সম্পদ বিবরণী প্রকাশ করবো। এখন আর এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’

রিটার্ন জমার সময় বাড়ছে না
আগামী ৩০ নভেম্বর শেষ হচ্ছে আয়কর বিবরণী জমার সময়। প্রতি বছরই সময় বাড়ানো হলেও এবার বার সময় বাড়বে না বলে জানিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের পরে কেউ দিতে চাইলে দিতে পারবে। তবে তাকে বিলম্ব ফি দিতে হবে। তবে বিলম্ব ফি দেয়ার ক্ষেত্রে যে জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে তা অনেক কম।’

রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকে রাজনৈতিক নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছি। রাজনৈতিক নিয়োগের কারণে অনেক দুর্নীতি হতো। আত্ময়ী স্বজনদের মধ্যে অর্থ বরাদ্দ হতো। এখন আমারা সিটি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন পেশাদার ব্যক্তিরদের পরিচলানা পর্ষদের দায়িত্ব দেয়া হয়।’

তবে এর মধ্যেও মাঝেমধ্যে ভুল হয়ে যায় বলেও স্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘দুই একজন ব্যাড হ্যান্ড পড়ে যায়। তবে সরকার এ বিষয়ে খুব কঠোর।’

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন