দাম কমছে সবজির বাড়ছে খাসির মাংসের

  15-01-2017 12:10PM

পিএনএস ডেস্ক: প্রতিবছরই শীতে সময়টুকুতে শাক-সবজির দাম কমতে থাকে। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। শীতের প্রকোপ বাড়ার বিপরীতে কমছে সবজির দাম। তবে ঠিক তার উল্টো গতিতে বেড়ে চলেছে খাসির মাংসের দাম। কয়েকদিন আগেও রাজধানীতে খাসির মাংস বিক্রি হতো ৫৫০ টাকা থেকে ৫৬০ টাকায়।

কিন্তু গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) হঠাৎ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিকেজি খাসির মাংসের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। তবে বাজারে আলু শাক-সবজি ও ডিমের দাম কমেছে। আলু, ডিম ও সবজির দামের সঙ্গে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামও সামান্য কমেছে। শুক্রবার রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে।

মহাখালী বাজারের খাসির মাংস বিক্রেতা মনির ও সারোয়ার হোসেন জানান, শীতকালে খাসির মাংসের চাহিদা বেশি। কিন্তু বাজারে খাসির সঙ্কট, সে কারণে খাসির মাংসের দাম সামান্য বেড়েছে। খুচরা বাজারে সবজির দাম আগের চেয়ে কমায় ক্রেতারা আছেন স্বস্তিতে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে এমনটিই জানা গেছে। প্রতিকেজি খাসির মাংসে দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। আগে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হতো ৫০০ থেকে ৫৬০ টাকায়। শুক্রবার তা বিক্রি হয় ৬০০ টাকা থেকে ৬২০ টাকায়। তবে কী কারণে খাসির মাংসের দাম বেড়েছে বলতে নারাজ বিক্রেতারা।

রাজধানীর গুলশান, মহাখালী, বাড্ডা, নতুনবাজার বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি বেগুন ছিল ৩০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায়, সাদা গোলাকার বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, টমেটো ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়), শশা ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, ঝিঙা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, পটল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, কাকরুল ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, ওস্তা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, চিচিঙা ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, জলপাই ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, দুন্দল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, বরবটি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়), কচুর ছড়ি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, লতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সাদা গোল আলুর দাম বেড়েছে। শুক্রবার প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টায়। গত সপ্তাহে এসব আলু বিক্রি হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি নতুন গোল আলু ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিটি লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতিটি ছোট কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মহাখালD কাঁচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে নিত্যপণ্যের কোনো সঙ্কট নেই। কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম অনেক কম, ক্রেতাও অনেক। তাই বেচাকেনায় মন্দা যাচ্ছে না। বাড্ডা বাজারের কাঁচাপণ্যের ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ জানান, বাজারে এখন সব পণ্যে দামই কম। বেচাকেনা খুব খারাপ না। যখন পণ্যের দাম বেশি ছিল তখন যেমন আমদানি করতাম তেমনি বিক্রি করতাম। কিন্তু এখন পণ্যের দাম কম কিন্তু কাস্টমারও বেশি।

এদিকে, বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়।

বাজারে গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়, নাজিরশাইল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায়, মোটা চাল ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য এমন উঠা-নামা করায় কিছুটা বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা। আবার কিছু পণ্যের দাম পতনে ব্যবসায়ীদের কপালে ভাঁজের রেখা চোখে পড়েছে। তাদের কথাতেও তেমনটিও ধরা পড়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, বাজার অস্থিতিশীল হলে তা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্যই ভোগান্তির কারণ হয়।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন