একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্প ৭৩৩, প্রাক্কলিত ব্যয় ৭ লক্ষ ৬৩ হাজার কোটি টাকা

  14-02-2017 05:21PM

পিএনএস : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির(একনেক) সভায় ৩ হাজার ৬৮৪কোটি ৫০ লক্ষ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় সম্বলিত ১১টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে | এর মধ্যে জিওবি ২ হাজার ৬৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা | সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৮৮কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৯৫৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকা| আজ ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেল কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয় ।একনেক সদস্যবৃন্দ,মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ,সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ,সচিব এবং সিনিয়র সচিববৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।

সভার শুরুতে পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান আজকের একনেক সভাটি বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে শততম সভা। একশতটি সভায় মোট ৭৩৩টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। ।অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩ শত নয় কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ।সভার শুরুতে পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান আজকের একনেক সভাটি বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে শততম সভা। একশতটি সভায় মোট ৭৩৩টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। সর্বসাকুল্যে প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩ শত নয় কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ।

পরিকল্পনা মন্ত্রী একনেকসভা শেষে সভার বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছন । তিনি বলেন প্রকল্প সমূহের বাস্তবায়নের ফলে দেশের মানুষ সুফল পাচ্ছেন । প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, চলমান অগ্রগতির অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকলে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে । পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন , প্রধানমন্ত্রী ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুদৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে আরো দ্রুততার সাথে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ।

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান ,প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেল উল্লেখ করে বলেন, মিথ্য অভিযোগ দিয়ে ঘড়যন্ত্র করা হয়েছিল । মিথ্যা অভিযোগের কারণে একজন সচিবকে জেল খাটতে হয় । মিথ্যা অভিযোগের কারণে দেশ পিছিয়েছে। ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থে আঘাত লাগায় তা হয়েছে । গত অর্থবছর আমরা ৭ দশমিক ১১ ভাগ জিডিপি অর্জন করেছি । নির্ধারিত সময়ে পদ্না সেতু বাস্তবায়িত হলে জিডিপিতে আরো শতকরা একভাগ যোগহয়েশতকরা ৮ ভাগে উন্নীত করা সম্ভব হতো ।

একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্প সমূহ হচ্ছে ৯৭৯.৯৮কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা প্রকল্প ।৩৭৪.০১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে“আলীকদম-জালানীপাড়া-করুকপা তা-পোয়ামুহুরী সড়ক নির্মাণ” প্রকল্প । ১৬৫.১৯ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে গোপালগঞ্জ এবং বাগেরহাট পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতিকরণ” প্রকল্প। ১০৬.৫৮কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে“কোর্ট হতে রাজশাহী বাইপাস সড়ক পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ”প্রকল্প ।

৫৯২.৬৯কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে“বৃহত্তর নোয়াখালী (নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মিপুর জেলা) পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন-২” প্রকল্প । ৩৪০.১৩ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে “রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন” প্রকল্প । ২৫০.৫৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রকল্প । ১৮৩.৬৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন” প্রকল্প।৮৬.০০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে“ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট স্থাপন” প্রকল্প । ৮৬.০০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে “ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট স্থাপন” প্রকল্প । ১৬৩.৫৭ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে “সাভার সেনানিবাসে মিলিটারি পুলিশ সেন্টার ও স্কুল নির্মাণ” প্রকল্প এবং ৪৪২.১৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে “ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এলইডি সড়কবাতি, সিসিটিভি, ক্যামেরা ও সিসিটিভি কন্ট্রোল সেন্টার সরবরাহ ও স্থাপন” প্রকল্প ।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন