গরুর মাংসের দাম এখনো নিয়ন্ত্রণহীন

  24-02-2017 02:02PM

পিএনএস ডেস্ক: রাজধানীর বাজারগুলোতে এখনো নিয়ন্ত্রণহীন গরু ও খাসির মাংসের দাম। ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায় ও খাসির মাংস ৭৫০ টাকায়।

শুক্রবার রাজধানীর মুগদা, খিলগাঁও ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহে আগের বেশি দামেই গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে তবে কমেছে মুরগির দাম। অন্যদিকে মাছের দাম কিছুটা বাড়লেও অপরিবর্তিত আছে সবজির দাম।

রাজধানীর বাজারগুলোতে, দেশি গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়।

গরুর মাংসের দাম বেশি কারণ জানতে চাইলে মাংস ব্যবসায়ী মিলন বলেন, এখন খরচ বেশি তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমি প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা নিচ্ছি অনেকে ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছেন।

এদিকে আগের সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। মুরগির মাংসের বিক্রেতারা আল আমিন বলেন, গত সপ্তাহে গরুর মাংস বিক্রি না হওয়ায় ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছিল। এ সপ্তাহে কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি ১৫-২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং কক মুরগি প্রতিপিস ১৫০ টাকা থেকে ২২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৫০-৪৫০ টাকায়।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজি গত সপ্তাহের দরে বিক্রি করছে। প্রতি কেজি সাদা আলু ১৪-১৮ ও লাল আলু ২০-২২ টাকা, বেগুন ৩২-৪০ টাকা, ফুলকপি আকারভেদে ২০-৩০ টাকা, বাধাকপি ২৫-৩৫ টাকা, শালগম ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শিম প্রকারভেদে ২৫-৪০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, গাজর ২৫-৩৪ টাকা, মূলা ২০-৩০ টাকা, শশা ও খিরা ২০-৩২ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার পিচ ১৫-২০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, শালগম ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৪০-৫০ টাকা, মটরশুটি ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২০-৩২ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকাদরে বিক্রি করছে। কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা।

প্রতি আঁটি লাউ শাক ২৫ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ও ডাটা শাক ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২০-২৮ টাকা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

রাজধানীর খুচরা মাছ বাজারে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে মাছের দাম। ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই ৩৬০-৪০০ টাকা, কাতলা ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-২০০, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৪৫০-৮০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০-৭০০, দেশি মাগুর ৪০০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৩৫০-৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দামও গত সপ্তাহের দামে অপরিবর্তিত রয়েছে। ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩০-৩২ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৪৬ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪৪-৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খোলাবাজারে লিটার প্রতি বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১০৭ টাকায় ও খোলা সোয়াবিন ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছেন ৩৭-৪০ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৫০-৫৫ টাকা, পাইজম ৪২ থেকে ৪৬ টাকা, নাজির শাইল ৪৫-৬০ টাকা ও বিআর আটাশ ৪০-৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুগদা বাজারের ক্রেতা আবুল কালাম বলেন, ধর্মঘটের নামে মাংস ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহে দাম বাড়ালো ১০০ টাকা। এখনো আগের দামেই বিক্রি করছে মাংস। আর একবার দাম বাড়লে কি আর আমাদের দেশে কমে। আর এটি দেখারও কেউ নেই। মাছের দামও বেড়েছে। গত সপ্তাহে রুইমাছ কিনেছি ৩৮০ টাকা কেজি। এখন দাম চাচ্ছে ৪৫০ টাকা। আর শোল মাছ কিনলাম ৪৫০ টাকা কেজি দরে। সব কিছুরই দাম বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য না কিনলে চলে না। তাই বাধ্য হয়ে কিনতে হয়। আর এর সুযোগ নেয় বিক্রেতারা।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন