লাগামহীন মশলা, ভোজ্য তেলে প্রশান্তি

  18-03-2017 12:52PM

পিএনএস ডেস্ক: এ সপ্তাহে ক্রেতার সন্তুষ্টিতে ঘি ঢাললো ভোজ্য তেল সয়াবিন। খোলা সয়াবিন গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে পাঁচ টাকা, এছাড়া মশলার মূল্য গত সপ্তাহের তুলনায় লাগামহীন বৃদ্ধি হয়েছে। গত সপ্তাহে এলাচির মূল্য ছিল তেরশ টাকা যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ষোলশ। সাথে সাথে জিরা, দারুচিনি ও অন্যন্য মশলার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে চোখে পড়ার মত।

যাত্রবাড়ী কাঁচা বাজারের মসলা ব্যবসায়ী রিয়াদ বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় মশলার মূল্য অনেক বেশী। ক্রেতার সাথে দর কষাকষি করাটা একজন দোকানির কাম্য নয়। অনেকে আমাদের দোষারোপ করেন মুল্য বৃদ্ধির কারণে, অথচ পাইকারী মূল্য বাড়লে আমরা খুচরা ব্যবসায়ীদের কি করার আছে?

ভোজ্য তেল সয়াবিন গত সপ্তাহে ছিল নব্বই টাকা, যা এ সপ্তাহে পাঁচ টাকা কমে। এছাড়া সরিষার তেল প্রতি কেজি খোলা বিক্রি হচ্ছে এক শত বিশ টাকা।

চাউলের মূল্য আগের মতই আছে। এছাড়া ডিমের দাম কমেছে হালি প্রতি এক টাকা। পোল্ট্রি ফার্ম ব্রয়লার মুরগিতে বেড়েছে পাঁচ টাকা। সাদা মুরগী এক শত পঞ্চান্ন টাকা (প্রতি কেজি) ও লাল মুরগী এক শত পচাঁত্তর টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মশলার সাথে পাল্লা দিয়ে পেঁয়াজে বেড়েছে পাঁচ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো প্রতি কেজি বিশ টাকা।

আর কিছুদিন পর বাঙালীর প্রাণের স্পন্দন বর্ষবরণ, তারই প্রভাব মাছের বাজারে। ইলিশ মাছের মূল্য গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটা বেশি। প্রতি হালি ইলিশে বেড়েছে চার-পাঁচশত টাকা। মাঝারী সাইজের প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে পঁয়ত্রিশ শত থেকে চার হাজার টাকা। এছাড়া অন্যান্য মাছের মূল্য বেড়েছে অনেকটা চোখে পড়ার মত।

মাসুম নামের জুরাইন কাঁচা বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, কিছু পাইকারী মাছ ব্যবসায়ি প্রতারক সিন্ডিকেটের কারণে মাছের দাম উঠা-নামা ও দীর্ঘদিন কোল্ডস্টোরে রাখার কারণে মাছের গুণগত মান কমে যাচ্ছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, সেভেন স্টার কোম্পানী ও মাসুদ কোম্পানী, ভারত থেকে রুই, আইড়, বোয়াল, ফলি মাছ, বাইন মাছ ও চিংড়ি মাছ আমদানী করে নিজস্ব কোল্ডস্টোরেজে সংরক্ষণ করে রাখার ফলে খুচরা বাজারে মাছে সংকট তৈরী করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে খুচরা ব্যবসায়ি ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।

সবজি বাজার এ সপ্তাহে রয়েছে স্থিতিশীল, সাধারণ মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে শাক-সবজির মূল্য কম থাকায়।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন