বকেয়া রাজস্ব হালখাতায় আদায় ৫৬৬ কোটি টাকা

  14-04-2017 07:05PM

পিএনএস, বকেয়া আদায় নয়, পরিশোধ’- স্লোগানে প্রথমবারের মতো ঢাকাসহ সারাদেশের আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস হাউজে ‘রাজস্ব হালখাতা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল ৩০ চৈত্র ১৪২৪ বঙ্গাব্দ) চৈত্র সংক্রান্তির দিনে রাজস্ব হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়। রাজস্ব হালখাতায় ৩০৬ কোটি টাকার আয়কর, কাস্টমসে ২০৭ কোটি ও ভ্যাটে ৫৩ কোটি টাকাসহ মোট ৫৬৬ কোটি টাকার বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ করেছেন করদাতা-অংশীজনরা।

দেশের সর্বক্ষেত্রে একটি রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত রাজস্ব হালখাতায় অংগ্রহণ করে সেবা গ্রহণ, বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ ও অভূতপূর্ব সাড়া দেওয়ায় করদাতা-অংশীজনদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা) সৈয়দ এ মুমেন জানান, গ্রাম-বাংলার ঐহিত্য মাটির হাঁড়ি, পাতিল, কলা গাছ, কুলো, হাতপাখাতা, মুখোশ, হাতির গেট আর রঙ বেরঙের দেয়াল কার্টুনে সাজানো হয় কর, ভ্যাট ও কাস্টমস অফিস। খোলা হয় হালখানার ঐহিত্যবাহী নতুন রেজিস্টার খাতা। মাটির সানকিতে দেয়া হয়েছে মিষ্টি, বাতাসা, নারিকেলের নাড়ু, সন্দেশ, খৈ, কদমা, মুরালি, নিমকী, মুড়ির মোয়া, চিড়ার মোয়া, তিলের খাজা, সুন্দরী পাকন পিঠা, শাহী পাকন পিঠা, নকশি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, স্পন্স রসগোল্লা, দই, ডাবের পানি, তরমুজ, পেয়ারা, বরই ইত্যাদি। বাংলার ঐহিত্য লালন করে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন করদাতা-অংশীজনরা।

তিনি আরো জানান, রাজস্ব হালখাতার উদ্দেশ্য ছিল করদাতা-অংশীজনদের সাথে সর্ম্পক সুদৃঢ় ও সুসংহত করা। পাশাপাশি বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ আর করদাতা-অংশীজনদের মিষ্টি খাওয়ানো। করদাতা-অংশীজনরা বকেয়া রাজস্ব পরিশোধে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন।

এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, রাজস্ব হালখাতায় সারাদেশে ৫৬৬ কোটি টাকার বকেয়া রাজস্ব আহরণ হয়েছে। এরমধ্যে আয়কর খাতে ৩০৬ কোটি, কাস্টমস খাতে ২০৭ কোটি ও ভ্যাট খাতে ৫৩ কোটি টাকা।

রাজস্ব হালখাতায় অভূতপূর্ব সাড়া ও সেবা গ্রহণ করায় করদাতা-অংশীজনদের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘নববর্ষ বাংলার ঐতিহ্য। বাঙালি জাতির স্বাতন্ত্র্য ও সত্তার সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। এ বছর আমাদের অন্যতম উদ্ভাবন হল ‘হালখাতা’। ‘হালখাতা’ আমাদের গর্বিত বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক। তাই বাঙ্গালীর চিরায়ত এ উৎসবকে আমরা বকেয়া কর সংগ্রহের কাজে লাগাতে চাই। ভবিষ্যতে এ ধরণের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।’

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন