পেঁয়াজের ঝাঁজ কমেনি, মসলার বাজরেও আগুন

  18-08-2017 01:13PM

পিএনএস ডেস্ক: ঈদের চাঁদ উঠতে এখনও বেশ কিছু সময় বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে বাজারে পড়েছে মসলা আইটেমের ওপর উর্ধ্বমুখী প্রভাব। গত কয়েক সপ্তাহের ব্যাবধানে পেয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, এলাচি, গোল মরিচ ও দারচিনির দাম বেড়েছে চোখে পড়ার মত।

শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র, দামের এমন উর্ধ্বগতিতে হতাশ নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।

নগরীর পাইকারি বাজার শ্যাম-বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল কাঁচা বাজার, যাত্রাবাড়ি ও জুরাইন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় গত দুই সপ্তাহের ব্যাবধানে মসলা ও পেয়াজের দাম বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত। এছাড়া জিরা ও এলাচির দাম বাড়ছে প্রতি নিয়ত। ঈদের আগমনে আমদানি কম ও সারাদেশের বন্যা পরিস্থতির কারণে দামের এই উর্ধ্বগতি বলে দাবি করেছে পাইকারি ও খুচরা ব্যাবসায়ীরা। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা দোকানিদের প্রতি বছরের রুটিন।

শ্যাম-বাজারের পাইকারি ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইন্ডিয়ান পেয়াজ ও মসলার আমদানি কম। এছাড়া সারাদেশের বন্যা পরিস্থিতিতে পেয়াজ রসুন ও আদার ফলনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে দামের উর্ধ্বগতি।

রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যাবসায়ী মুরাদ বলেন, আমরা দাম বাড়াই এটা ঠিক না, আমদানি কম থাকলে কি করার থাকে, তাছাড়া বাড়তি দামে কেনা পড়লে আমাদের বাড়তি দরে বিক্রি করতে হয়। যেমন গত দুইদিনে আলু প্রতি বস্তায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি দামে কেনা পড়েছে, কিন্তু আমরা আগের দরে বিক্রি করছি। দেশি পেয়াজের ঘাটতির কারণে পেয়াজের দাম বাড়ছে, আর ইন্ডিয়ান পেয়াজের আমদানি রয়েছে খুব কম।

এদিকে খুচরা বাজারে পেয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে মসলায় এক সপ্তাহ ব্যাবধানে বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা, বাজারে এলাচি (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩৫০ টাকা, এলাচি(বড়) বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০০ টাকা, জিরা(ইরানি) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা। ইন্ডিয়ান জিরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা, দারচিনি ২৮০ টাকা, গোলমরিচ ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে মসলা আইটেম লং কেজিতে বেড়েছে ২০০ টাকা, গত সপ্তাহের ১০০০ টাকার লং চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা।

যাত্রাবাড়ি বাজারের খুচরা মসলা ব্যাবসায়ী সাজিদ বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে পাইকারি বাজারে সব মসলার দাম বাড়ছে। এলাচির দাম লাগাম ছাড়া। কেজিতে একশ টাকা বাড়তি দামে কিনে কমে বিক্রি করা কি সম্বভ?

এদিকে খুচরা বাজারে ইন্ডিয়ান পেয়াজ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ টাকা, দেশি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি, রসুন(দেশি) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, চায়না আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি, আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি, তবে আলু আগের কেনা থাকায় পুর্বের দরে বিক্রি করছেন, এমনটাই জানা গেছে দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে।

এদিকে গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে আটা কেজি প্রতি বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা, গত সপ্তাহের ২৫ টাকার আটা ২৮ থেকে ২৯ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে স্বর্না(মোটা) চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা কেজি দরে, আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে, মিনিকেট মান অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরে।

ডিমের দাম রয়েছে চলতি সপ্তাহে অপরিবর্তিত সাদা (ফার্ম) ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা হালি প্রতি, হাঁসের ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।



পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন