শেরপুরে প্রতি পিচ খাঁসির চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ২০টাকায়!

  04-09-2017 07:14PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রতিটি খাঁসি ও ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ২০টাকায়!। আর মহিষ, গাভী ও বকনা গরুর চামড়া বিক্রি হয় ১২০টাকা থেকে ১৮০টাকা দরে। যা গত দশ বছরের তুলনায় একেবারে কম। এদিকে এবার চামড়ার বাজারে ধ্বস নামায় কয়েকশ’ ক্ষুদে মৌসুমী ও খুচরা চামড়া ব্যবসায়ীর মধ্যে কেউ কেউ লাভবান হলেও অধিকাংশ ব্যবসায়ীর বিপুল অংকের টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে। এছাড়া গত বছর স্থানীয়ভাবে প্রায় দুই থেকে তিন কোটি টাকার চামড়া কেনাবেচা হলেও দাম পড়ে যাওয়ায় এবার একই পরিমান চামড়া মাত্র এক থেকে দেড় কোটি টাকায় কেনাবেচা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গত বারের চেয়ে এবছর রকমভেদে সব ধরনের পশুর চামড়া দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ কম দামে কেনাবেচা হয়েছে। ঈদের দিন প্রথমভাগে মৌসুমী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা একটু বেশি দামে চামড়া কিনলেও দিনের শেষভাগে চামড়ার দাম ব্যাপকভাবে পড়ে যায়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কিছুটা বেশি দরে চামড়া কেনাবেচা করতে দেখা গেলেও শহর এলাকার অবস্থা ছিল একেবারেই বিপরীত। চামড়া ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান ঠাণ্ডু, আব্দুল বারীক, শাহেব আলী জানান, এবার রকমভেদে প্রতিটি গাভীর চামড়া ১২০টাকা থেকে ২৫০ টাকা, ষাঁড় ও বলদ গরুর চামড়া ৫০০থেকে ১৪০০ টাকা, খাঁসি ও ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ৬০ টাকা, ভেড়ার চামড়া ১৫ থেকে ২০টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে বলে এসব ব্যবসায়ীরা জানান।

চামড়ার দাম কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, ঈদের আগে ট্যানারি মালিক ও বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়ার দাম নির্ধারণ করেন। স্বাভাবিক বাজারদরের চেয়ে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম অনেক কম নির্ধারণ করায় চামড়ার বাজারে ধ্বস নামে। এছাড়া গত বছরের চামড়া এখনো অবিক্রি রয়েছে। ফলে ট্যানারি মালিকদের নিকট ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা আটকা পড়ে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা ওইসব বকেয়া টাকা না পেয়ে অনেকেই অন্যান্য বারের ন্যায় এবার চামড়া কিনতে পারেননি। আর এসব কারণেই এবছর চামড়ার বাজারে ধ্বস নেমেছে বলে তাঁরা জানান।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল





@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন