‘হপ্তাডা গেলেই দাম বাড়া শুরু করবো’

  16-09-2017 02:04PM

পিএনএস ডেস্ক: ‘আর কয়`দিন এমুন কম পাইবেন। এই হপ্তাডা গেলেই দাম বাড়া শুরু করবো। লইয়া যান, মন আর পেট ভইরা খাইয়েন। দাম কমাইয়াই রাখমুনে। লন মিয়া।’

কথাগুলো বলছিলেন সোয়ারিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সামসুদ্দিন ব্যপারি। রাজধানীর পাইকারী মাছ বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। শুক্রবার কথাগুলো বলছিলেন ২৫ বছর ধরে ইলিশ মাছের ব্যবসা করা সামসুদ্দিন।

তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রকারভেদে কেজি প্রতি ইলিশের দাম কমেছে ১০০-২৫০ টাকা। তবে আগামী মাসের ১ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। সে কারণে আগামী সপ্তাহ থেকে আবারো দাম বাড়তে পারে।

বাজার ঘুরে দেখা গেল, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১০০০ থেকে ১০৫০, ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৪৫০, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ৬৫০ থেকে ৭০০ এবং ৩০০ গ্রামের ইলিশ ২৫০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।

ইলিশের মতো অন্য মাছের দামও কম বলছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, ইলিশের দাম কম হওয়ায় মানুষ অন্য মাছ কম কিনছে। এ কারণে অন্য মাছেরও দাম কম।

তবে ক্রেতাদের ভিন্ন মত। তারা বলছেন, ইলিশের দাম একটু কম হলেও অন্য মাছের দাম বেশি। গেল সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ১০০ টাকা দাম বাড়ার কথা বলছেন তারা।

নাঈম ব্যপারি। ইলিশের পাশাপাশি অন্য মাছও বিক্রি করেন। তিনি বলেন, বাইলা মাছ (বড় ও মাঝারি) কেজি প্রতি ৪৬০ এবং গুড়াটা ২৫০ টাকায় বিক্রি করছি। তেলাপিয়া ৯০ থেকে ১০০ এবং পাঙ্গাস ৮০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করছি।

এই বাজারের দুটি অংশ একটি অংশে দক্ষিণাঞ্চলের ও অন্যঅংশে চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার মাছ বিক্রি করা হয়।

সোলাইমান মিয়া। পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে খুচরা মাছ বিক্রি করেন। তিনি নিলামে এক পেকেট (২০ কেজির) পোয়া মাছ কিনলেন ১০৭০ টাকায়। তিনি বলেন, গড়ে প্রতি কেজি প্রায় ৫৫ টাকা করে পড়লো। গত সপ্তাহে এগুলো ৪৫ টাকা করে কিনেছিলাম। এখন বাড়তি দাম দিয়ে যেহেতু কিনেছি, সেহেতু আমাদেরও বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হবে।

সোয়ারিঘাট মাছ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিক ব্যপারি। তার আড়তে দেখা গেল, এক কেজি জিওল ৬০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাটালি চিংড়ি ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে থাকা অন্য মাছগুলোর মধ্যে, রুই ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতলা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন