মিল মালিকদের কারসাজিতে বাড়ছে চালের দাম

  10-02-2018 11:35AM


পিএনএস ডেস্ক: সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে চিকন চালের দাম। কেজি প্রতি ২-৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। পাইকারি বাজারেও ৫০-৬০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে ৫০ কেজির চালের বস্তা।

চিকন চালের দাম বৃদ্ধিতে নিম্ন মধ্যবিত্তের ঘরের চুলায় যে মোটা চাল যায় সেটিরও দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। আর এরইমধ্যে অনেকে মোটা চাল ১-২ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন।

খুচরা ও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে চিকন চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ তারা দেখছেন না। মিনিকেট চালের মিল মালিকদের কারসাজিতে হঠাৎ করে চিকন চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই অভিযোগ তাদের।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে চালের দামের ভিন্নতা দেখা গেছে।

চালের দোকানি আলাউল হক রনি জানান, রশিদের মিনিকেট চালের বস্তা এক সপ্তাহ আগে ৩ হাজার ৫০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৩ হাজার ১৫০ টাকা, মোজাম্মেলের মিনিকেটেও একই দাম বেড়েছে। মিনিকেট হিসেবে চিকন চাল মূলত মোজাম্মেল ও রশিদের মিল থেকেই আসে।

খুচরা হিসেবে মিনিকেট চাল ৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুনেছি দাম আরও বেড়েছে। এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়বে।

চালের দাম বৃদ্ধির তারতম্য দেখা গেলো ফকিরবাড়ি বাজারে। জামালপুর রাইস এজেন্সির প্রোপাইটার শরিফুল ইসলাম সবুজ জানান, রশিদের মিনিকেট ও মোজাম্মেলের মিনিকেটের বস্তা সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে রহমান স্পেশাল ও জবা কাটিং মিনিকেটের বস্তার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। রহমান স্পেশাল ৩ হাজার ২৮০ টাকা এবং জমা মিনিকেট ২ হাজার ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর মোটা চালের মধ্যে রাব্বি-২৮ ২ হাজার ৪৫০ টাকা ও তাজমহল বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ টাকায়।

রাজনৈতিক কারণেও চালের দাম বাড়তে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সামনে নির্বাচনের সময় হয়তো দাম কমবে। সরকারের চাপে বাধ্য হয়েই তখন দাম কমাবে।

এদিকে, পাইকারি বাজারে মিনিকেট চালের দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে। দাম বেড়েছে মোটা চালেরও।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন