‘কর ফাঁকিবাজদের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে’

  12-04-2018 05:58AM

পিএনএস ডেস্ক: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, দেশের অনেক বড় ব্যবসায়ী ভালো ব্যবসা করছেন। বাড়ি, গাড়ি, দালান সবকিছুই রয়েছে। কিন্তু লোকসান আর লোকসান দেখিয়ে আমাদের কাছে রিটার্ন দাখিল করে এবং ট্যাক্স কম দেয়। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।

বুধবার সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচায় বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) সম্মেলন কক্ষে বড় করদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান প্রথমবার এলটিইউ পরিদর্শন করেন। এ সময় এলটিইউ প্রাঙ্গণে স্থাপিত করদাতা সম্মাননা গ্যালারী উদ্বোধন করেন। একই সাথে এলটিইউ এর নিজস্ব লোগো, ক্রেস্ট, ডাইরি, কোট পিন ও ড্রেস উদ্বোধন করা হয়। এলটিইউ আয়কর বিভাগের একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হলেও এতদিন এর নিজস্ব কোনো লোগো, ক্রেস্ট, ডাইরি, কোট পিন ও ড্রেস ছিল না। সভায় ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক ১০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধিরা নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানির ডাবল প্রত্যাহার, আয়করের ক্ষেত্রে বিবিধ খরচ বা ব্যয়ের ওপর করারোপ প্রত্যাহার, ইন্সুরেন্সের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার, কর্পোরেট কর কমানো, বড় করদাতাদের ট্যাক্স কার্ড দেয়ার প্রস্তাব করেন।

এর জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, কর্পোরেট কর কমানোর বিষয়ে কাজ হচ্ছে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ও স্থানীয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অসামসঞ্জতা রয়েছে তা আমাদের নজরে রয়েছে। সুবিধা না দিলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনার ক্ষেত্রে বেনিফিট দেয়া উচিত। রিফান্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করা হবে। আমাদের ট্যাক্স জিডিপি অনেক কম, তা বাড়াতে ট্যাক্স ও ভ্যাটে করদাতাদের কমপ্লায়েন্স হওয়া দরকার।

বন্ড মার্কেটের সুবিধা কেন বন্ধ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা এবং দ্বৈত কর প্রত্যাহারের আশ্বাস দেন তিনি। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে মূসক, কর ও শুল্ক বিভাগ অটোমেশনের আওতায় চলে আসবে উল্লেখ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
সভায় এলটিইউ কমিশনার অপূর্ব কান্তি দাস কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, এলটিইউ করদাতারা কমপ্লায়েন্স। তাদের কোনো হয়রানি করা হবে না। আইন অনুযায়ী এবং প্রশ্ন ছাড়াই বড় করদাতাদের খরচ বা ব্যয়ে করারোপ করা হবে না। কোনো কর্মকর্তা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সভায় এনবিআর সদস্য জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাহবুব উল আলম, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মাওলা, আমেরিকান লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার সাঈদ হাম্মাদুল করিম, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আরিফ খান, অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ও সিএফও প্রদীপ কর চৌধুরী, সিটি ব্যাংক এনএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিটি কান্ট্রি অফিসার এন রাজাশেকারান (শেকর), মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয়, ব্রাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর এফ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন