ব্যাংক কর্মকর্তাদের ঘুষ না নেওয়ার শপথ করালেন অর্থমন্ত্রী

  26-03-2019 07:57AM



পিএনএস ডেস্ক : সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ঘুষ না খেতে শপথ বাক্য পাঠ করালেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ শপথ পড়ান অর্থমন্ত্রী।

ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমরা একে অপরের সততায় বিশ্বাস করি না। সৎ মানুষের বড়ই অভাব। তারপরও বলবো সৎ মানুষ অনেক বেশি। সৎ মানুষদের কারণেই দেশ ও পৃথিবী টিকে আছে। আমি বিশ্বাস করি আপনারা সৎভাবে কাজ করবেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা কী ঘুষ খান? কীভাবে খান? আমাকে তো কেউ ইনজেকশন পুশ করেও ঘুষ খাওয়াতে পারবে না। ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া সমান অপরাধ।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এখানে আপনার একটি স্বপ্ন আছে স্লোগানের পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুক্ত হতে যাচ্ছে আমরা আপনার সততায় বিশ্বাসী। এ স্লোগানকে ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে কর্মকর্তাদের ঘুষ না নেওয়ার শপথ বাক্য পাঠ করান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রাক্কলন করা হয়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। মাথাপিছু আয় হয়েছে ১ হাজার ৯০৯ ডলার। আগামী চার বছরের মধ্যে আমাদের প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে উন্নীত হবে ও ১০ শতাংশে দাঁড়াবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, সোনালী ব্যাংকের আমানত ঋণ আদায় বাড়লেও প্রভিশন ঘাটতি এখনো অনেক। অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায় কম। খেলাপি ঋণেরও উন্নতি হয়নি। এটি আদায়ে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ডিউ ডিলিজেন্স মেনে চলতে হবে।

গর্ভনর বলেন, বিশেষ গোষ্ঠী বা অঞ্চলে ঋণ কেন্দ্রীভূত করা যাবে না। এলসির দায় যেন ফোর্স লোনে পরিণত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সর্বপরি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, বিদেশে সব গ্রাহকদের সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদেরও সেই চর্চা করতে হবে। তবেই ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বাড়বে। বর্তমান যুগের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য ও প্রযুক্তি সম্বলিত সেবা দিতে না পারলে সোনালী ব্যাংক পিছিয়ে পড়বে বলেন আসাদুল ইসলাম।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আশরাফুল মকবুল বলেন, হলমার্ক থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা বড় বড় ঋণ দেওয়ার বিলাসিতা থেকে সরে এসেছি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নজর দিয়েছি। সোনালী ব্যাংক ৫১টি সেবা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে ১৬টি নামমাত্র মূল্যে। রূপপুর পরমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৯৫ হাজার কোটি টাকার এলসি খুলেছি। এতে কমিশন পাওয়ার কথা ৫ হাজার কোটি টাকা। পেয়েছি মাত্র ২০ কোটি টাকা।

স্বাগত বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সোনালী ব্যাংক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবো। আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন প্রভিশন, মূলধন ঘাটতি ও জনবল সংকট ছিলো প্রকট। এখন সেটি অনেক অংশে কমেছে।

পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন