প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার, লেনদেন ৫৩৬ কোটি

  05-05-2019 05:50PM

পিএনএস ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুঁশিয়ারির পর অব্যাহত দরপতন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রোববার (৫ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে ১০৮.১৫ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৫৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার। চলতি বছর সূচকের এমন উল্লম্ফন দেখেননি বিনিয়োগকারীরা।

অপর দিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক বেড়েছে ২০৪.৯০ পয়েন্ট। এদিন সিএসইতে ২৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পুঁজিবাজারে আমরা সব ধরনের সুযোগ দিচ্ছি। এখানে আগে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা স্থিতিশীল করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ নিয়ে খুব বেশি শঙ্কিত হবার কিছু নেই। যা যা নিয়ন্ত্রণ করার সে পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি, তবে কেউ যদি গেম খেলতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি ও নেব, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যাহত দরপতনে হতাশ রাস্তায় আন্দোলনে নেমে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। অনেক বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও মাইনাসে চলে গিয়েছিল। অর্থমন্ত্রী, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ ও ট্রেক হোল্ডারদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হলেও বাজারের লেনদেনে ছন্দ ফিরেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর বাজারের বিনিয়োগকারীদের ক্রয় চাপ লক্ষণীয় ছিল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৯২টির, দর কমেছে ৩৮টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ১৫টি প্রতিষ্ঠানের। এ সময় ডিএসইতে ১৫ কোটি ৬৬ লাখ ১ হাজার ৭৫৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এ সময় ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১০৮.১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫৩৯৪ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে। এ সময় শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্যসূচক ডিএসইএস বেড়েছে ১৫.৬৩ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক বেড়েছে ৩১.০৮ পয়েন্ট।

দিন শেষে ডিএসইতে ৫৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে ৪৭৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৬০ কোটি টাকা।

লেনদেন শেষে ডিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কররপোরেশন। এদিন কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

টার্নওভার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ন্যাশনাল টিউবস, কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মধ্যে দিয়ে টার্নওভার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে এসেছে ফরচুন সুজ।

টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো— মুন্নু সিরামিক, ইউনাইটেড পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, ন্যাশনাল পলিমার, জেনেক্স ইনফোসিস, একটিভ ফাইন ও এস্কয়্যার নিট কম্পোজিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২১৭টির, দর কমেছে ৩২টির ও দর অপরিবর্তত ছিল ১০টি প্রতিষ্ঠানের। এ সময় সিএসইতে ২৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

দিন শেষে সিএসই’র সাধারণ মূল্যসূচক বেড়েছে ২০৪.৯০ পয়েন্ট। এ সময় সিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে একমি ল্যাব। কোম্পানিটির ৩ কোটা ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন