ঈদের আগেই মসলার বাজারে আগুন!

  24-07-2019 11:31AM

পিএনএস ডেস্ক: প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের আগে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মসলার বাজারে আগুন লাগে। দ্বিগুণ-তিনগুণ কিংবা সুযোগ বুঝে তার বেশি দাম হাঁকান ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে বরাবরই হাহুতাশ বাড়ে দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের। দাম বৃদ্ধি ধনীদের জন্য অসুবিধার কারণ না হলেও সীমিত আয়ের মানুষ এই কোরবানির ঈদে বাজারে মসলা কিনতে গিয়ে পড়েন বিড়ম্বনায়। অনেকেই অভিযোগ আর ক্ষোভ উগড়ে দেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! বাজার সিন্ডিকের হাতেই যেন বন্দি হয়ে পড়েন ক্রেতারা। বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনতে হয় মসলা।

কোরবানির ঈদের গরুর মাংসের বিভিন্ন প্রকার রেসিপি ও মাংস সংরক্ষণে রাখতেও মসলার প্রয়োজন হয়। ফলে এই সময়টাতে দেশের প্রতিটি মুসলিম পরিবারে মসলার বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। বিপরীতে বছরের এই সময়টাতে মসলার কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে এই পণ্যটির দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গেলো কয়েক সপ্তাহে দারুচিনি, এলাচ ও জয়ত্রির দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ভারতের কেরালায় গত বছরের বন্যা আর এবছরের খরায় এলাচের উৎপাদন ব্যাপক কমেছে। আর বিশ্ববাজারে কমেছে ভিয়েতনামের দারুচিনির যোগান। ফলে এবারও কোরবানির ঈদে ক্রেতাদের মসলা কিনতে হবে বাড়তি দামে।

জুনের শেষদিকে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি এলাচের সর্বনিম্ন দাম ছিলো ১২০০ টাকা। আর সর্বোচ্চ ২২০০ টাকা। এখন সেই দাম ঠেকেছে ২ হাজার থেকে ২৬০০ টাকায়।

দারুচিনিতেও একই অবস্থা। গেল দুই মাসে এই পণ্যটির দাম বেড়েছে তিনবার। রাজধানীর মৌলভীবাজারে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হয়েছে ৩২০ টাকায়। কিন্তু মাসের শেষ সপ্তাহে দাম বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা। ১ হাজার ৮০০ টাকার জয়ত্রির প্রতিকেজির দাম এখন ২ হাজার ৩০০ টাকা।

গোটা বছরে দেশে সাড়ে ৪ হাজার টন দারুচিনি, ৩ হাজার টন এলাচ, ৩৬০ টন লবঙ্গ, ২ হাজার ৫০০ টন জিরার চাহিদার রয়েছে। বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতি বলছে, মোট চাহিদার প্রায় অর্ধেকই বিক্রি হয় কোরবানির ঈদ ঘিরে। কিন্তু এই সময়টাতেই বাজারে দেখা দেয় মসলার কৃত্রিম সংকট।

এ ব্যাপারে মসলা বিক্রেতারা জানান, তারা ঈদ ঘিরে বাড়তি দাম মসলা কিনছেন। তাই বাজারও চড়া।

এদিকে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এরইমধ্যে বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ৭ টাকা কমে ২৫ টাকা কেজি ও দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন