সবজিতে স্বস্তি, অপরিবর্তিত মাছ-মাংস

  27-12-2019 06:58PM

পিএনএস, বরিশাল প্রতিনিধি : গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। কেজি প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সব সবজির দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে এখনও মাছ- মাংস’র দাম। আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। এছাড়া মাংস, ডিম, মুরগি, ডাল, চাল, চিনি ও ভোজ্যতেলও বিক্রি হচ্ছে আগের দামে।

আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বরিশাল নগরের নতুন বাজার, পোর্ট রোড বাজার, চৌমাথা বাজার, বাংলা বাজার, চরকাউয়া বাজার,বটতলাবাজার, কাশিপুর বাজার, ইস্টিমারঘাট পাইকারী বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে কেজি প্রতি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো (কাঁচা) ২০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, ৩০ থেকে টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, নতুন আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পুরাতন আলু ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে। দাম কমে প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা-ধুন্দল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ক্ষিরা ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। তবে কিছুটা বেড়েছে মরিচের দাম। কাঁচামরিচ বাজারভেদে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ৫ থেকে ১০ টাকা কমে আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, লাউ পিচ ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। এসব বাজারে আটিপ্রতি (মোড়া) কচুশাক ১০ টাকা, লালশাক ৫ থেকে ১০ টাকা, মুলা ১০ টাকা, পালংশাক ৫ থেকে ১০ টাকা, পুঁইশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউশাক ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। দাম কমেছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব বাজারে আমদানি করা মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে। দেশি নতুন পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। গাছসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে, আমদানি করা মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। বাংলা বাজারের শহিদুল নামে এক ক্রেতা বলেন, সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। এটা ভালো দিক। তবে গত বছরের এসময়ের তুলনায় এবছর এখনও বাড়তি মনে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম এখনও সাধারণ ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে আসেনি।

সবজি বিক্রেতা কবির বলেন, এখন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে দামও কমেছে। তবে সবজির দর নির্ভর করে মাল সরবরাহের উপর, মাল কম হলে দাম বাড়ে। এখন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। অন্যদিকে আগের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। এসব বাজারে প্রতি কেজি (এক কেজি সাইজ) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায়, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে। জাটকা ইলিশের কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি কাচকি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ৫৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা , পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা, লেয়ার ২০০ থেকে ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি ২৫০ থেকে ২৭০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা, বকরি ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, ডাল, চাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম।

পিএনএস/মো. শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন