চীনের হারানো পোশাকবাজার হাতছাড়া হচ্ছে বাংলাদেশের

  03-03-2020 10:59AM


পিএনএস ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে এক দফা বাজার হারায় তৈরী পোশাক রফতানির বিশ্ববাজারে অপ্রতিদ্বন্দ্বী চীন। বাণিজ্যযুদ্ধ কিছুটা শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই আঘাত হানে করোনাভাইরাস। পরপর দুই আঘাতে রফতানিবাজারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে চীন। স্বাভাবিক কারণেই চীনের হারানো বাজার হাতছানি দিচ্ছে অপরাপর প্রতিযোগীদের।

আন্তর্জাতিক পোশাকবাজারে দীর্ঘ দিন ধরেই চীনের পরের অবস্থানটি ছিল বাংলাদেশের। ফলে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন এ দেশের রফতানিকারকরা। কিন্তু মাঝের সময়টায় অপর দুই প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া যে নিজেদের অনেক বেশি যোগ্য করে তুলেছেন সেটি বুঝতে বাকি নেই কারো। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় স্থানটি দখল করে নিয়েছে ভিয়েতনাম। আর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে কম্বোডিয়া।

অন্য দিকে বাংলাদেশের রফতানিকারকরা ভুগছেন বন্দর, বিদ্যুৎ, গ্যাস, মুদ্রার অতিরিক্ত মান, অবকাঠামোসহ নানাবিধ সমস্যায়। প্রশ্ন উঠেছে, চীনের হারানো বাজার দখলে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০১৯ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), চীন, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, ভারত, তুরস্ক, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এই শীর্ষ ১০টি দেশ ৪২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের তৈরী পোশাক রফতানি করেছে, যা মোট রফতানির ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক রফতনি করেছে চীন। বিশ্ববাজারে দেশটির হিস্যা ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ।

চীনের পরই একক দেশ হিসেবে পোশাক রফতানিতে শীর্ষ স্থানে আছে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম। বাংলাদেশ তিন হাজার ২৯২ কোটি এবং ভিয়েতনাম তিন হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে। উভয় দেশের বাজার হিস্যা প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। গত বছর ১০ শীর্ষ রফতানিকারকের মধ্যে বাংলাদেশের বাজার হিস্যা ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্য দিকে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) তথ্যানুযায়ী, চীনের পোশাক রফতানি কমলেও যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকেরা ব্যবসা কমায়নি। গত বছর তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৮ হাজার ৩৮২ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা ২০১৮ সালের চেয়ে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। গত বছর চীন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দুই হাজার ৪৮৮ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করে, যা ২০১৮ সালের চেয়ে ২৪৯ কোটি ডলার বা ৯ দশমিক ১০ শতাংশ কম।

এমন দুরবস্থায় গত পাঁচ বছরের মধ্যে আর পড়েনি চীন। ২০১৮ সালেও ট্রাম্পের দেশে চীনের পোশাক রফতানি বেড়েছিল ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চীনের ব্যবসা হারানোতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ভিয়েতনাম। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ পাঁচ পোশাক রফতানিকারক দেশের মধ্যে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ। ভিয়েতনাম গত বছর এক হাজার ৩৫৬ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে। তারপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের। রফতানির পরিমাণ ৫৯৩ কোটি ১৯ লাখ ডলার। গত চার বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পোশাক রফতানিতে ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছিল বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা।

পোশাক রফতানিতে ভিয়েতনাম ইতোমধ্যেই আমাদের ছাড়িয়ে গেছে জানিয়ে বাংলাদেশ তৈরী পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্রয়াদেশ চীন থেকে ভিয়েতনামে স্থানান্তরিত হয়েছে। ভিয়েতনামের পোশাক খাতে চীনাদের বিনিয়োগই বেশি। বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর তারাই মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের ভিয়েতনামে নিয়ে গেছে। অন্য দিকে নানা কারণে আমাদের কারখানাগুলোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে গেছে।

সে জন্য আমরা বাণিজ্যযুদ্ধের সুফল কাক্সিক্ষত মাত্রায় নিতে পারিনি। নতুন করে আসা চীনের করোনাভাইরাসজনিত সমস্যায় আমাদের বাজার ধরার একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দেখতে হবে সে সুযোগ গ্রহণে আমরা কতোটা প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমরা বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করছি। সরকার পোশাক রফতানিতে নতুন করে ১ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নও কিছুটা হয়েছে। প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে আরো কী করা যায়, সেসব নিয়ে পরিকল্পনা হচ্ছে। ফলে আশা করছি, আগামী বছর আমাদের পোশাক রফতানি কিছুটা ভালো হবে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এ প্রসঙ্গে বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি ক্রয়াদেশ আমরা পেয়েছি এ কথা সত্য। কিন্তু সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ। তারা ডলারের বিপরীতে নিজেদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে গেছে। আমরা সেটি করতে পারিনি। ফলে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে চীনের হারানো ব্যবসা শেষ পর্যন্ত কাঙ্খিত মাত্রায় নিতে পারিনি। এখন করোনাভাইরাসের কারণে নতুন করে চাপে পড়েছে চীন। আমাদের অনুমান এ চাপ দীর্ঘস্থায়ী হবে। কিন্তু সেখান থেকে আমরা বাড়তি ফল তুলতে পারব বলে আশা করতে পারছি না। কারণ অন্যদের তুলনায় আমাদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে অনেক কম। তা ছাড়া বন্দর নিয়ে তো আমাদের সমস্যা আছেই। আছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোসহ নানা সমস্যা।

আতঙ্কের নাম ভিয়েতনাম : রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম ৯ মাসে বাংলাদেশ থেকে দুই হাজার ৬১০ কোটি ডলারের পোশাক রফতনি হয়েছে। অন্য দিকে ভিয়েতনামের সরকারি তথ্যানুযায়ী, একই সময়ে ভিয়েতনাম থেকে রফতনি হয়েছে দুই হাজার ৯৩০ কোটি ডলারের পোশাক। তার মানে, ৯ মাসে বাংলাদেশের চেয়ে ভিয়েতনাম ৩২০ কোটি ডলারের পোশাক বেশি রফতানি করেছে। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধিতে ভিয়েতনাম অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

অটেক্সার তথ্যমতে, ভিয়েতনাম চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার ৩৫ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। অন্য দিকে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ৪৫৬ কোটি ডলারের পোশাক, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি। অন্য দিকে বাজারটিতে শীর্ষ রফতানিকারক চীনের রফতানি কমেছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে চীন রফতানি করেছে দুই হাজার ১০ কোটি ডলারের পোশাক।

ইইউ-ভিয়েতনাম মুক্তবাণিজ্য চুক্তি : এ দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে ভিয়েতনামের সাম্প্রতিক এক চুক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে বাংলাদেশের রফতানিকারকদের। মুক্তবাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত এ চুক্তির ফলে আগামী ১০ বছর ইইউভুক্ত দেশগুলোতে প্রায় বিনা শুল্কে পণ্য রফতানির সুবিধা পাবে ভিয়েতনাম। চুক্তিটি ইইউ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার ৯৯ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক দূর করবে। তাতে দুই দেশের কোম্পানির জন্য বাজার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে।

চুক্তি বাস্তবায়নের সাথে সাথে ভিয়েতনামে ইইউর ৬৫ শতাংশ পণ্যের রফতানি শুল্কমুক্ত হয়ে যাবে। বাকি পণ্যের শুল্ক ১০ বছর ধরে ক্রমান্বয়ে কমবে। একইভাবে ইইউতে রফতানি হওয়া ভিয়েতনামের ৭১ শতাংশ পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার হয়ে যাবে শুরুতেই। বাকিটা হবে সাত বছরে ধাপে ধাপে। ইইউর হিসাবে বাণিজ্য চুক্তিটির ফলে ২০৩৫ সাল নাগাদ ইইউতে ভিয়েতনামের বার্ষিক রফতানি বেড়ে এক হাজার ৫০০ কোটি ইউরোতে দাঁড়াবে। অন্য দিকে ভিয়েতনামে ইইউর রফতানি ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছাবে দুই হাজার ২০০ কোটি ইউরোতে। এ ছাড়া চুক্তির ফলে ২০২৫ সাল নাগাদ ভিয়েতনামের জিডিপি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে দেশটির পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়।

অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা বা জিএসপির কারণে ইইউ হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের বড় গন্তব্য। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ইইউভুক্ত দেশগুলোতে দুই হাজার ১১৩ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করে। তার মানে বাংলাদেশী পোশাকের প্রায় ৬২ শতাংশ ইইউতে গিয়েছে। তবে ইভিএফটিএ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের মতো শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে ভিয়েতনামের তৈরী পোশাকও। সেটিকেই বড় দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছেন পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

বিজিএমইএ বলছে, ইইউতে রফতানি হওয়া বাংলাদেশের ১২ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ১১ শতাংশ তৈরী পোশাক একই রকম। চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে এসব পণ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে। আবার ধাপে ধাপে শুল্কমুক্ত হওয়ায় সাত বছরের মধ্যে বাংলাদেশের এক হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পণ্যও ভিয়েতনামের সাথে প্রতিযোগিতায় পড়ে যাবে।

তিন সুবিধা চায় বিজিএমইএ : এ দিকে চীনের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আপদকালীন তহবিল, ঋণের নিশ্চয়তা স্কিম এবং ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের নীতিমালা সংশোধনসহ তিন সুবিধা চেয়েছে বিজিএমইএ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক। চিঠির অনুলিপি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বরাবরও চিঠি দিয়েছে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।

বিজিএমইএর চিঠিতে বলা হয়, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীন থেকে এক হাজার ৩৬৩ কোটি ডলারের পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি হয়েছে। তার মধ্যে সুতা, কাপড় ও অন্যান্য কাঁচামাল রয়েছে ৫০২ কোটি ডলারের। পোশাক খাতের প্রায় ৪৬ শতাংশ কাঁচামাল চীন থেকে আসে।

করোনাভাইরাস যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে পোশাক খাতে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। চট্টগ্রাম বন্দরে চীনা জাহাজ আসা শূন্যের কোঠায় চলে আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যানুযায়ী, ইতোমধ্যে আমদানি কমেছে ৩৭ শতাংশের মতো।

এ অবস্থায় নিজেদের দাবির বিষয়ে বিজিএমইএ বলেছে, করোনাভাইরাসের কারণে সময়মতো কাঁচামাল না পেলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। উদ্যোক্তাদের নিজ খরচে উড়োজাহাজে পণ্য পাঠানো কিংবা বিকল্প উৎস থেকে কাঁচামাল সংগ্রহের প্রয়োজন হতে পারে। তখন কারখানাগুলোর বাড়তি ব্যয় সংস্থানের জন্য আপদকালীন তহবিলের দরকার হবে। আবার কাঁচামাল আমদানিতে দেরি হলে নানাবিধ জটিলতা রোধে ব্যাক টু ব্যাংক এলসির নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে।

এ ছাড়া বিকল্প উৎস থেকে কাঁচামাল আমদানির প্রয়োজন হলে বাণিজ্যিক ব্যাংক যাতে উদ্যোক্তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ঋণ নিশ্চয়তা স্কিম দরকার।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন