সিএমএসএমই খাতের ৩ পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আকার বেড়ে দ্বিগুণ

  09-05-2020 04:05PM

পিএনএস ডেস্ক : কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাতে বিদ্যমান তিন পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আকার বাড়িয়ে দ্বিগুণ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনটি তহবিলের আকার ১৬শ’ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সুদহার ২ শতাংশ কমিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ঋণ বিতরণের শর্তও শিথিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল থেকে চলতি মূলধন ঋণের পাশাপাশি মেয়াদি ঋণ নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত বৃহস্পতিবারের তারিখ উল্লেখ করে শনিবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান এসব পুনঃঅর্থায়ন স্কিমগুলোর মধ্যে স্মল এন্টারপ্রাইজ খাতে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের পরিমাণ ৮৫০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দেড় হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য মফস্বলভিত্তিক শিল্প স্থাপনে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আকার ৭০০ কোটি টাকা থেকে ১৪শ’ কোটি টাকা করা হয়েছে। আর বিদ্যমান নতুন উদ্যোক্তা পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আকার ৫০ কোটি টাকা থেকে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমই খাতের পুনরুজ্জীবন প্রক্রিয়া আরও গতিশীল এবং টেকসই করতে চলতি মূলধনের পাশাপাশি মেয়াদি ঋণের যথাযথ প্রবাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান তিনটি তহবিলের বিষয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব তহবিলের আওতায় ব্যাংক পর্যায়ে সুদহার হবে ৩ শতাংশ। আর গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদ নিতে পারবে। এতোদিন ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংক রেট তথা ৫ শতাংশ সুদে পুনঃঅর্থায়ন নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে বিতরণ করতে পারতো।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদেও জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে গ্রাহক পর্যায়ে চলতি মূলধন ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো। এক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে সরকার।

বিদ্যমান তিন পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের বিষয়ে আগের নির্দেশনার আলোকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি হলে ওই ব্যাংক এসব তহবিল থেকে পুনঃঅর্থায়ন পেতো না। মূলধন ঘাটতি, বাংলাদেশ ব্যাংকে বিধিবদ্ধ জমা সংরক্ষণে ব্যর্থ ব্যাংক এ তহবিল থেকে অর্থ পেতো না। অধিকাংশ সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি থাকায় এবং মূলধন ঘাটতি থাকায় তারা এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারতো না। যে কারণে এখন সরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে এই শর্ত শিথিল করা হয়েছে। আর যে কোনো ব্যাংকের ব্যবসায়ীক অভিজ্ঞতা ৫ বছর থেকে কমিয়ে ৩ বছর করা হয়েছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন