বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের নতুন রেকর্ড

  01-09-2020 11:34PM

পিএনএস ডেস্ক : দেশে বৈদেশিক মুদ্রার নতুন রেকর্ড গড়েছে। আজ মঙ্গলবার দিনের শুরুতে বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ ছিল রেকর্ড ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ার পাশাপাশি জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার ৩০ কোটি ডলার মিলিয়ে রিজার্ভের এই নতুন রেকর্ড হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত আগস্টে প্রবাসীরা ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। গত বছরের পুরো আগস্টে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন তারা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ গত জুলাইয়ে প্রবাসীরা ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। দেশের ইতিহাসে এটিই একমাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ছিল। আর আগস্টে আসা ১৯৬ কোটি ডলার একক মাসের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। জুলাই ও আগস্ট মাস মিলিয়ে দেশে এসেছে ৪৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯১ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে দীর্ঘ সাত মাস পর বাংলাদেশ রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধিতে ফিরে এসেছে।

ইপিবির তথ্যমতে, নতুন অর্থবছরের পণ্য রপ্তানি থেকে প্রথম মাস জুলাইয়ে গত অর্থবছরের যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি আয় হয়েছে। মার্চে পণ্য রপ্তানি থেকে ২৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ, যদিও প্রবৃদ্ধি কমেছিল ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এরপর জুলাই মাসে রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়ে দাঁড়ায় ৩২৪ কোটি ৪৯ লাখ ডলারে। আর আগস্ট মাসের প্রথম ৩০ দিনে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৩২৩ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করেছে। এর ফলে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের আগস্টের পুরো মাসের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। গত বছরের আগস্টে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ২২৩ কোটি ৯৩ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের পাশপাশি বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকা ও এআইআইবির মতো দাতা সংস্থার ঋণ সহায়তাও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। গত পাঁচ মাসে এ সংস্থাগুলোর দেওয়া প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়েছে।

গত ৩ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪ জুন সেই রিজার্ভ আরও বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এক সপ্তাহ পরে ৩০ জুন তা ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। আর তার এক মাস পর ২৮ জুলাই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর গত ১৭ আগস্ট রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আজ মঙ্গলবার তা ৩৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন