জ্বালানি তেল আমদানিতে ঋণ নেবে বিপিসি

  07-09-2020 11:13PM

পিএনএস ডেস্ক : বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ২০২০ সালের জ্বালানী তেল আমদানির জন্য ইসলামিক ট্রেড ফিনান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) পাশাপাশি বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) থেকে ১০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঋণের জন্য আইটিএফসির ওপর নির্ভরতা কমাতে বিপিসি এসসিবি’র কাছ থেকে অর্থ ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, জেদ্দা ভিত্তিক আইটিএফসি থেকে ৩০ কোটি ডলার এবং এসসিবি থেকে ১০ কোটি ডলার ঋণ নিতে নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা বিপিসি।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব থেকে জানা যায়, এ ঋণের সময় সীমা হবে ঋণ বিতরণের তারিখ থেকে ছয় মাস বা ১৮০ দিন এবং সুদের হার বার্ষিক ৩.১৬ শতাংশ।

লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) জারি করার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ০.১০ শতাংশ। বিপিসির চেয়ারম্যান মো. শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত বিপিসির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আইটিএফসির ওপর নির্ভরতা কমাতে করপোরেশন এসসিবি থেকে অর্থ ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী এএইচএম মোস্তফা কামাল আইটিএফসি থেকে ৮০ কোটি ডলার ঋণ নিতে সম্মতি দিয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে বার্ষিক ৬০ লাখ টন জ্বালানী তেলের চাহিদা রয়েছে।’

দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লি. বছরে ১৫ লাখ টন তেল পরিশোধন করে। বিপিসি বাকি ৪৫ লাখ টন জ্বালানি আমদানি করে, যার দাম প্রতি লিটারে অতিরিক্ত ছয় টাকা ব্যয় করতে হয়।

ইস্টার্ন রিফাইনারি ৩০ লাখ টন জ্বালানি তেল পরিশোধন করার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল তা বর্তমানে তহবিলের অভাবে বন্ধ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ক্রমাগত লোকসান এবং প্রচুর ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ফলস্বরূপ এ জাতীয় অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিপিসির বিভিন্ন ধরনের জ্বালনি তেল আমদানি করতে বছরে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হয়।

রাষ্ট্রীয় জ্বালানী তেল আমদানিকারক সংস্থা বিপিসি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যখন বৈদেশিক মুদ্রায় পর্যাপ্ত ঋণ নিতে ব্যর্থ হয় তখন বিদেশি ব্যাংক ও ঋণদানকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন