ঢাবিতে একুশ শতকে ব্যবসার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

  25-10-2016 05:25PM

পিএনএস: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে মঙ্গলবার থেকে ‘একুশ শতকে ব্যবসার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের তত্ত্বাবধায়নে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন ১০ দেশের ৪৪ জন গবেষক, ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ড. আখতারুজ্জামান, ব্যবসা ও অর্থনীতির মডেল তৈরির জন্য সুপরিচিত মি. পার্থ এস. ঘোষ, এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক জিওফ্রে উড এবং অস্ট্রেলিয়ার সুইন বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক বার্নেদিনা ভেন গ্রামবার্গ।
সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিজনেস স্টাডিজ বিভাগের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম শুরুতেই অতিথিদের স্বাগত জানান।
ঢাবি ভিসি আরেফিন সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করে জাতীয় ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। সামাজিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে বর্তমানে ব্যবসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে তিনি অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে গবেষণার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এ ধরণের কনফারেন্স নিয়মিত আয়োজন করা উচিত।
প্রো-ভিসি ড. নাসরিন আহমেদ বলেন, এ ধরনের কনফারেন্স নিয়মিত আয়োজন করা উচিত। একুশ শতকের আবহাওয়া বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ ও বিজ্ঞ কর্মীদের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন তিনি।
প্রো-ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। এরই মধ্যে আমরা নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি এবং বেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করা না হলে দেশ আরো দ্রুত এই অবস্থান অর্জন করত।
সম্মেলনে মি. পার্থ এস. ঘোষ, অধ্যাপক জিওফ্রে উড এবং অধ্যাপক বার্নেদিনা ভেন গ্রামবার্গ নিজ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
মি. পার্থ ঘোষ তার প্রতিবেদনে প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কার্য পরিচালনায় দারুণভাবে প্রভাবিত করছে। যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নতুন শিল্প ও বিজ্ঞানকে আপন করে নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে পারবে, তারাই বিশ্ব অর্থনীতিকে এক নতুন যুগে নিয়ে যাবে।’
অধ্যাপক জিওফ্রে উড তুলনামূলক করপোরেট গভার্নেন্স, ও বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে ব্যবসা বিস্তার ও একটি প্রতিষ্ঠানের আপেক্ষিক কার্যক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি ফার্মগুলোর মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদী অপ্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক দৃঢ়করণে গুরুত্বারোপ করেন।
অধ্যাপক বার্নেদিনা ভেন গ্রামবার্গও ব্যবসার জন্য পরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একুশ শতকে ব্যবসার মূল কিছু বৈশিষ্ট্য ও নিয়েও আলোচনা করে তিনি।
তিনি বলেন, ‘যারা এই প্রভাবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবে তারাই বিজয়ী হবে।’
সমাপনী বক্তব্যে সম্মেলনের সহ-প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম সকলকে ধন্যবাদ জানান।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন