বনানী থেকে নর্থ সাউথের দুই ছাত্রসহ নিখোঁজ ৪

  05-12-2016 09:02AM




পিএনএস: রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে একদিনে চার তরুণ নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হল- সাফায়েত হোসেন, জায়েন হোসেন খান পাভেল, সুজন ও মেহেদী।

এর মধ্যে সাফায়েত ও পাভেল বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাকিদের মধ্যে সুজন বনানী এলাকার একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। অপরজন মেহেদী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

তারা চারজনই বন্ধু। তাদের বয়স ২২ থেকে ২৫-এর মধ্যে। ১ ডিসেম্বর তার নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর নিখোঁজ পাভেলের বাবা রাসেল খান বনানী থানায় জিডি করেছেন।

বনানী থানার এসআই সোহেল রানা বলেন, জিডির তদন্তে দেখা গেছে- তাদের (৪ তরুণ) সর্বশেষ অবস্থান বনানী এলাকায়। এরপর আর ট্রেস করা যায়নি। আমরা সবগুলো বিষয় সামনে রেখেই অনুসন্ধান করছি। তাদের কেউ তুলে নিয়ে গেছে, নাকি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়ে চলে গেছেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।

এসআই বলেন, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আগের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তারা খুব ভালো ছেলে।

বনানী থানা সূত্রে জানা গেছে, ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর বনানী কাঁচাবাজার এলাকায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির পাশের একটি রেস্তোরাঁয় সাফায়েত ও পাভেল খাবার খান। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বন্ধু সুজন। এর কিছুক্ষণ পর তারা একসঙ্গে রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, তাদের সঙ্গে মেহেদী নামে আরও এক বন্ধুও নিখোঁজ হয়েছেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, একসঙ্গে চার তরুণের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। তাদের কেউ অপহরণ করলে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাইত। কিন্তু নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পরও এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্য ও পুলিশ কর্মকর্তারা আইনশৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থায় খোঁজ নিয়েছেন। এ চারজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে নিখোঁজ তরুণরা স্বেচ্ছায় কোনো ধর্মীয় উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যোগ দিয়ে থাকতে পারেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নিখোঁজ চার তরুণের মধ্যে পাভেল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। সাফায়েতও এ-লেভেল এবং ও-লেভেল সম্পন্ন করে নর্থ সাউথে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়ে বাবা আলী হোসেনের সঙ্গে পুরান ঢাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাঝে মধ্যে বসত সাফায়েত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাফায়েতের প্রোফাইলে গিয়ে দেখা যায় ধর্মীয় নানা বিষয়ে পোস্ট।

চার তরুণের তিনজনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে আরও দেখা গেছে, তিনজনের একজন ২০ নভেম্বর, একজন ২৩ নভেম্বর ও অন্যজন ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন। ১ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ হলেও এর আগে ফেসবুকে তাদের আর কোনো পোস্ট দেখা যায়নি।

সাফায়েতের এক স্বজন জানান, সাফায়েত নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। এমনকি তাহাজ্জুদের নামাজও পড়তেন।

নিখোঁজ চার বন্ধুর মধ্যে তিনজনেরই মুখে দাড়ি রয়েছে। পাভেলও ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। সাফায়েত ও পাভেল ছোটবেলা থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর পাভেলের মাধ্যমে সুজন ও মেহেদীর সঙ্গে সাফায়েতের পরিচয় হয়। পরে চারজনই ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠে।

জানা গেছে, নিখোঁজ সাফায়েতের বাবার নাম আলী হোসেন। পাভেলের বাবার নাম রাসেল খান ও সুজনের বাবার নাম আনিসুর রহমান।

নিখোঁজ চার বন্ধুর মধ্যে তিনজনেরই মুখে দাড়ি রয়েছে। পাভেলও ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। সাফায়েত ও পাভেল ছোটবেলা থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর পাভেলের মাধ্যমে সুজন ও মেহেদীর সঙ্গে সাফায়েতের পরিচয় হয়। পরে চারজনই ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠে।

জানা গেছে, নিখোঁজ সাফায়েতের বাবার নাম আলী হোসেন। পাভেলের বাবার নাম রাসেল খান ও সুজনের বাবার নাম আনিসুর রহমান। সূত্র: যুগান্তর

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন