অভিভাবকহীন রাবি

  21-03-2017 02:53PM


পিএনএস, রাবি: প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্তার মেয়াদ শেষ হওয়ায় কার্যত অভিভাবকহীন পড়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। সোমবার পর্যন্ত নতুন কোনো আদেশ না আসায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান নিজ নিজ বিভাগে যোগদান করেছেন। এর ফলে শেষ পর্যন্ত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়েই বিদায় নিলেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ দুটি পদে চার বছরের দায়িত্ব পালন শেষে সোমবার তারা নিজ নিজ বিভাগের একাডেমিক কাজে যোগ দেন।

সংশ্লিষ্ট বিভাগসূত্রে জানা যায়, সোমবার সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন তার বিভাগে যোগদান শেষে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে সকাল ১১টার দিকে ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান তার বিভাগের একটি একাডেমিক মিটিংয়ে যোগদান করেন।

বিভাগে যোগদান প্রসঙ্গে অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, আমি শিক্ষক হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলাম, দায়িত্ব পালনের সময়েও শিক্ষক ছিলাম। তবে গত চারবছর মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশে শিক্ষকতার পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রশাসনের কাজ করেছি। এর মাঝে আমি ক্লাসও নিয়েছি। এখন দায়িত্ব শেষ হয়ে যাওয়ায় পুরোপুরি নিজের বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেলাম।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২০ মার্চ থেকে অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন ও অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯ মার্চ তাদের দায়িত্ব গ্রহণের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত নতুন কেউ এই দুই পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হননি। অন্তবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন।

দায়িত্বের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে এই প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেনায় অনিয়মের অভিযোগে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে কেন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

এক শিক্ষার্থীর করা আবেদনের শুনানি শেষে গত ১৪ মার্চ বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

গত ৫ মার্চ জমি কিনতে রাবিতে গুরুতর জালিয়াতি শিরোনামে জাতীয় একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট করেন আসাদুজ্জামান নামের এক শিক্ষার্থী।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাবির অতিথি ভবনের জন্য ঢাকায় জমিসহ ইমারত কেনায় সরকারি ক্রয় নীতিমালা লঙ্ঘন করে গুরুতর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে দরপত্র দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানের দরপত্র বাতিল ও পুনরায় দরপত্র আহ্বান ছাড়াই ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার কেনাবেচায় (দলিল এবং চুক্তি সম্পাদন) অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দুর্নীতিসহ নানা অসঙ্গতির মাধ্যমে অন্তত সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন