বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত

  01-07-2017 05:02PM

পিএনএস ডেস্ক:`উদ্ভাবন ও উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা` এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠনের আহ্বান জানিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৯৬ বছর পূর্তি এবং ৯৭ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনাসমূহকে সাজানো হয় মনোরম সাজে। কার্জন হল, কলা ভবন, টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ও হলে আলোকসজ্জা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, কেক কাটা, উদ্বোধনী সঙ্গীত, শোভাযাত্রা, গবেষণা ও আবিস্কার বিষয়ক প্রদর্শনী প্রভৃতি।

সকাল সোয়া ১০টায় প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন চত্বরে জাতীয় পতাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন এবং উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এর আগে সকাল ১০টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শোভাযাত্রাসহ প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন মলে জমায়েত হন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ক্যাম্পাসে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালির নেতৃত্ব দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ শিক্ষক, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা। র‌্যালিটি টিএসসি মোড়, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে দুর্লভ পাণ্ডুলিপি প্রদর্শনী এবং কার্জন হলে বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের উদ্ভাবিত চিকিৎসা প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও গবেষণা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

এর বাইরে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও হল দিনব্যাপী নিজস্ব কর্মসূচি গ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকা সত্ত্বেও দিবসটি উপলক্ষে হল, বিভাগ ও অফিসসমূহ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা ছিল।

বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বর্তমান শতাব্দীকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের শতাব্দী। এ যুগে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নিরীহ মানুষ হত্যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সময়ের চাহিদা পূরণ করেছে। নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠন বর্তমান সময়ের একটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এসময় তিনি একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

এসময় তিনি সবাইকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একইসঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, সৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ এবং হোলি আর্টিজান ও সারা বিশ্বে বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় নিহতদের তিনি স্মরণ করেন।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন