মা-মেয়ের একসঙ্গে এইচএসসি পাস

  25-07-2017 08:08PM

পিএনএস ডেস্ক : পড়ালেখার জন্য ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট। এখানে বয়স কোনো বাধা নয়। তারই প্রমাণ দিয়েছেন জয়পুরহাট পৌর শহরের ইসমত আরা নামের এক গৃহবধূ। তিনি মেয়ের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ-৪ দশমিক ২৫ পেয়েছেন।

মেয়ে তানজিলা আফরিন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪ দশমকি ৩৩ পেয়েছেন। তাঁদের এ ফলাফলে মা, মেয়ে ও পরিবারের সবাই খুশি।

পৌর শহরের আদর্শপাড়ায় গতকাল সোমবার ভাড়া বাড়িতে গিয়ে কথা হয়, মা ও মেয়ের সঙ্গে। এ সময় ইসমত আরা বলেন, বিয়ের আগে স্কুল পর্যন্ত লেখাপড়া ছিল তাঁর। মেয়ে তানজিলা আফরিনকে। বাড়িতে পড়াতে গিয়ে নিজেরও আগ্রহ জাগে পড়ালেখার প্রতি। এরপর তিনি জয়পুরহাট শহর বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন।

আর তানজিলা পড়াশোনা করতেন জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। পরে মা ও মেয়ে ২০১৫ সালে একসঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনি পাঁচবিবির আয়মা জামালপুর কারিগরি মহাবিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ-৪ দশমিক ২৫ পান। মেয়ে তানজিলা জয়পুরহাট সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪ দশমিক ৩৩ পেয়ে পাস করেন।

তানজিলা বলেন, এবার জিপিএ-৫ না পাওয়ায় মন কিছুটা খারাপ হলেও মা ও মেয়ে একসঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। তানিজিলা মেডিকেলে ভর্তির জন্য ঢাকায় কোচিং করছেন। তাঁর ইচ্ছে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়া।

ইসমত আরা বলেন, জয়পুরহাট সরকারি কলেজে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হতে চান। পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে তিনি আইনজীবী হতে চান। স্কুল ও কলেজে ক্লাস করার সময় সহপাঠীরা তাঁকে আন্টি বলে ডাকতেন।

শিক্ষকেরা ছিলেন তাঁর প্রতি আন্তরিক। শিক্ষকেরা পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিতেন। এ ছাড়া পড়াশোনার পেছনে স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের সাহায্য ও অনুপ্রেরণা না পেলে তাঁর পক্ষে পড়াশোনা করা সম্ভব হতো না। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘স্ত্রীর পড়াশোনার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ থাকায় বিয়ের পরও তাঁকে পড়াশোনার জন্য উৎসাহ দিয়েছি ও সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতেও করব।’

পিএনএস/জে এ/মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন