ডাকসুর দাবিতে অনশন : ওয়ালিদকে সমর্থন জানাচ্ছেন অনেকেই

  03-12-2017 06:56PM

পিএনএস ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাওয়া ওয়ালিদ আশরাফকে সমর্থন জানাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা। তবে তাঁর দাবি, যাঁরা বাস্তবায়ন করবেন, তাঁদের কোনো নড়চড় নেই। আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের কেউই দাবি মানা না মানা নিয়ে কিছু বলছেন না।

কেউ আসুক আর না আসুক, ওয়ালিদ আশরাফ অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। গত ২৬ নভেম্বর শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত বিরামহীন অনশন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সন্ধ্যাকালীন স্নাতকোত্তর কোর্সের এই ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের পাশে ‘স্মৃতি চিরন্তন’ চত্বরে অনশন করছেন ওয়ালিদ।

ওয়ালিদের এ দাবিকে সমর্থন জানাতে গতকাল বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্রজোট মোমবাতি জ্বালিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এই ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতৃত্বে অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালের দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাঁকে সমর্থন দিতে আসেন বিল্লাল হোসেন, বলাই পাল, শামীমসহ অনেকেই। তাঁরা সেখানে বলেছেন, ‘আমরা ওয়ালিদ ভাইয়ের সঙ্গে আছি এবং থাকব, যতক্ষণ পর্যন্ত এই দাবি মেনে নেওয়া না হবে।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ালিদের সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা আসছেন দেখা করতে, তাঁকে সমর্থন জানাতে।


ওয়ালিদের অনশনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মোসলেহ উদ্দিন তরুণ। তিনি বলেন, ওয়ালিদ আশরাফের এই অটুট অনশনে ২৭ বছর বন্ধ থাকা ডাকসু নির্বাচন পুনরায় চালু হলে বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাদিয়া সুলতানা বলেন, যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন হয়, তাহলে বাংলাদেশের যে ৩৮ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, সেখানেও নির্বাচন হবে। ফলে বাংলাদেশ একটি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।

ওয়ালিদ আশরাফ বলেন, ‘আমি থাকব, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে—এখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আছি, হয়তো কিছুদিন পর থাকব না। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হয়, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক সব আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য গণতন্ত্র থাকবে না তা হতে পারে না। গত ২৭টি বছর এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। আজ আমি মাঠে নেমেছি, আমি চাই হলগুলোতে থাকা ছাত্ররাও যেন তাঁদের অধিকার আদায়ের জন্য মাঠে নামে।’

ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৬ জুন। ১৯৯৮ সালে ডাকসুর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। মাঝেমধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।-প্রথম আলো

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন