যেভাবে ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হলো!

  12-10-2018 03:32PM

পিএনএস ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ঘ’ ইউনিটের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। যদিও কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

শুক্রবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পযর্ন্ত এই ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যাম্পাসের বাইরে মোট ৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেদিন সকাল সাড়ে দশটায় ১০০টি হাতে লেখা উত্তরসহ একসেট প্রশ্নপত্র একজন সাংবাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক সোহেল রানাকে সরবরাহ করেন। একই প্রশ্নপত্র সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অনেকের কাছে এসেছিল।

পরীক্ষা শেষে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন হুবহু মিলে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে পরীক্ষা শেষে ব্রিফিংকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস নয়, এটা ডিজিটাল জালিয়াতি হতে পারে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে। তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, কর্তৃপক্ষের কাছে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেউ অভিযোগ করেনি।

পরীক্ষা চলাকালে ফাঁস হওয়া প্রশ্নটি একজন সহকারী প্রক্টরকে দেখানো হয়েছে সাংবাদিকদের এমন বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বলেন, তাহলে আমরা সেটি খতিয়ে দেখবো।

এর আগে গত বছর ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় এটাকে ডিজিটাল জালিয়াতি বলে আখ্যায়িত করে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। কিন্তু এক বছরেও সেই তদন্ত শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, এবার ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ঘ’ ইউনিটের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মোট ৮১টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে ১৬ হাজার ১৫টি আসনের বিপরীতে (বিজ্ঞানে- ১১৫২টি, বিজনেস স্টাডিজে- ৪১০, মানবিকে- ৫৩টি) ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ৯৫ হাজার ৩৪১জন। অর্থাৎ প্রতি আসনে লড়ছেন ৫৯ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন