বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে আসছে পরিবর্তন

  18-02-2019 09:51PM

পিএনএস ডেস্ক : বর্তমানে শুধু বিষয়ভিত্তিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করছে এনটিআরসিএ। বিদ্যমান আইনের সংশোধনী করা হচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) আওতায় আনা হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম। বেসরকারি স্কুল-কলেজ অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক এবং কর্মচারীদেরও নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এ ব্যাপারে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে এসেছে।

মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, আগে বিদ্যমান আইনের সংশোধনী আনতে হবে। এ নিয়ে কাজ শুরু হবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই। মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ফলে মান নিশ্চিতের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এটিকে অব্যাহত রাখতে হবে। মানসম্পন্ন শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

জানা গেছে, আগামীতে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) সব ধরনের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ এনটিআরসিএর মাধ্যমেই করতে হবে। এনটিআরসিএর সংশোধিত আইনে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষারও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ পরিবর্তনের ফলে সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মান ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি একটি পর্যায়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

তারা বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কমিটি বা ম্যানেজিং কমিটির কর্তৃত্ব এবং নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা যাবে। গভর্নিং কমিটি বা ম্যানেজিং কমিটির নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মান ও যোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এ কারণেই শিক্ষার মান নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী অফিস থেকে এ ধরনের নির্দেশনা এসেছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টরা জানান। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যেই ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ ও নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, সম্প্রতি সব স্কুল-কলেজকে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে শিক্ষাঙ্গন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজের সব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা এবং চার মাস পর পর ক্লাস ক্যাপ্টেন পরিবর্তন অন্যতম পদক্ষেপ। এর আগে দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজে ৩৯ হাজারের অধিক বিষয় ভিত্তিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশও অন্যতম।

তবে এ সব নিয়োগের সুপারিশ নিয়ে ইতোমধ্যেই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে স্বীকার করে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) দাবি করেন, মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কঠোর হলে এ সব জটিলতা খুব সহসাই দূর করা যাবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে আগামীতে আরও কিছু নির্দেশনা দেয়া হবে স্কুল ও কলেজগুলোকে। এ সব নির্দেশনা অনুসরণ না করা হলে অভিযুক্তদের এবং প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা বাতিল এবং শিক্ষকদের বেতনের সরকারি অংশ স্থগিত বা একেবারেই স্থগিত করা হতে পারে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন