জরুরি অবস্থা ভেঙে আন্দোলনে ইবি শিক্ষার্থীরা, আটক ২২

  24-04-2019 03:59PM


পিএনএস ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের মুখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ বুধবার সকালে ক্যাম্পাসে মাইকিং করে সকল প্রকার মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে শিক্ষাবান্ধব ফি প্রণয়নের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তাদের কথায়- ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ সুবিধা শিক্ষক-কর্মকর্তারা শতভাগ ভোগ করবে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাণ শিক্ষার্থীরা চারগুন অর্থ ব্যয় করে লেখাপড়া করবে তা হতে পারে না।’

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি ফিসহ বিভিন্ন খাতে ফি বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বর্ধিত এই ফি কমানোর দাবিতে গত বছর থেকে আন্দোলন করে এলেও ক্যাম্পাস প্রশাসন তা আমলে নেয়নি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বর্তমানে যে ফি আছে তা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের জন্য খুবই কষ্টকর। আগের তুলনায় ফি বৃদ্ধি করার সাথে সাথে আরো কয়েকটি খাতও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমাদের দাবি ফি সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনা হোক।’

তবে ভিসি ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলছে ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পেছনে ভিন্ন কোনো কারণ থাকতে পারে। আন্দোলনের ভিন্ন উদ্দেশ্য উদঘাটন করতে কাজ করছে ক্যাম্পাস প্রশাসন।’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক এক সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের সিনিয়র নেতা বলেন, ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকলে সেটা ভালো বার্তা বহন করে না। তবে বর্তমান প্রশাসন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সিনিয়র শিক্ষক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যার কারণে প্রশাসন সামান্য বিষয়কে ভয় পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা বিচার করতে হবে। কারণ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাণ।’

একই সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের তিন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুরু হওয়া এ অনশন স্থল থেকে আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে ক্যাম্পাস প্রশাসনের জ্ঞাতসারে ২২ শিক্ষার্থীকে আটক করে কুষ্টিয়া ডিবি কার্যালয়ে নিয়েছে পুলিশ। এতে ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের পরিমাণ আরো বেড়ে গেছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘অভিভাবক হয়ে পুলিশ দিয়ে যৌক্তিক আন্দোলন থেকে আমাদের আটক করেছে, যা ন্যাক্কারজনক।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ জানান, ‘আন্দোলনকারী ২২ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আনিছুর রহমান বলেন, ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে সকল ধরণের মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে আজাদ লাভলু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের কোর্স ফাইনাল পরীক্ষা অনিবার্য কারণ বশত বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।’

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন