সেই শিক্ষা কর্মকর্তার সার্টিফিকেট তদন্তের দাবি!

  03-08-2019 03:16PM

পিএনএস ডেস্ক:ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্ররা সাবলীলভাবে ইংরেজি পড়তে পারে না। বিষয়টি নজরে এসেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামানের। তাই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। কিন্তু শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে জারি করা চিঠির ২২ জায়গায় ভুল করেছেন খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামান।

এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনের মন্তব্য তুলে ধরা হলো।

সামলা জানান নামে একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন- এরকম একটা ব্যক্তিও আমাদের দেশে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হয়। আবার আমরাই মানসম্মত শিক্ষার জন্য গলা ফাটাই। আমি এই মহান শিক্ষা কর্মকর্তার নিয়োগ প্রক্রিয়া ও তার সমস্ত সার্টিফিকেট তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করার দাবি জানাই।

ব্রিতি ব্রিনতো নামে আরেকজন লিখেছেন- জেলা শিক্ষা প্রাথমিক কর্মকর্তাদের পদগুলো ক্যাডারভুক্ত করা দরকার। এসব অযোগ্য লোকদের কারণেই শিক্ষার মানোন্নয়ন হচ্ছে না।

মারজিনা জামান লিখেছেন- শিক্ষক বরখাস্ত যেই অপরাধে, সেই অপরাধে অফিসার ও বরখাস্ত হবে, আইনে তাই বলবে।

এইস, এম মোকসেদুল হাসান লিখেছেন- প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা মাস্টার্স পাস কিন্তুু শিক্ষা অফিসের কর্মচারীরা কি মাস্টার্স পাস?

এর আগে গত ৩০ জুলাই বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আক্তারুজ্জামান। এ সময় বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সাবলীলভাবে ইংরেজি পড়তে পারে না। তাই, অফিসে ফিরে তিনি ৩১ জুলাই ওই স্কুল ইংরেজির সহকারী শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। বৃহস্পতিবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হয়েছে। কিন্তু ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সেই চিঠিতেই রয়েছে ২২টি ভুল। এ নিয়ে ঝিনাইদহের শিক্ষক মহলে একদিকে যেমন চলছে সমালোচনা।

জেলা শিক্ষা অফিসারের পাঠানো চিঠিতে দেখা গেছে, ইংরেজিতে chapter বানানটি লেখা হয়েছে 'cahpter'। চিঠিতে ‘এরূপ’ বানান ‘এরুপ’, সত্ত্বেও বানান সত্তেও, ইংরেজি বানান ইংরেজী, আপিল বানান আপীল, অসদাচরণ বানান অসাদাচরণ, শ্রেণি বানান শ্রেণী, বরখাস্তকালীন বানান বরখাস্তকালনীনসহ ২২টি বানান ভুল লেখা হয়েছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আক্তারুজ্জামান Chapter বানানটিই ভুল লিখেছেন। অথচ শিক্ষার্থীরা ইংরেজি না পারায় শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। চিঠি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তাতে মারাত্মক ভুল আছে ৫টি। এ ছাড়া ব্যাকরণগত ও মাত্রাগত ভুল রয়েছে ১৭টি।

ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আক্তারুজ্জামান চিঠিতে ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, ব্যস্ততার কারণে আমি ভুলে ভরা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। বৃহস্পতিবার সেটি সংশোধন করে স্মারক নম্বর ঠিক রেখে নির্ভুল চিঠি পাঠানো হয়েছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন