‘ঢাবির গণরুম দাসত্বের কারখানা’

  01-10-2019 04:53PM

পিএনএস ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর গণরুম দাসত্বের কারখানায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিভিন্ন হলের গণরুমের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণরুমের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে আজ থেকে আন্দোলেন নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডাকসু নেতা তানভীর হাসান সৈকত।

সৈকত বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে গণরুম টিকিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনগুলো সবাই তাদের ফায়দা লুটে নেয়। তারা গণরুমকে তাদের দাসত্বের কারখানায় পরিণত করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী এখানে দাস হওয়ার জন্য আসেনি।’

সমাবেশে তিনি বলেন, ‘ডাকসুর পক্ষ থেকে ভিসি স্যারকে আমি গণরুম সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছি। তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এক মাসেও এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।’

তিনি বলেন, ‘আমি ভিসি স্যারের উদ্দেশে বলছি- আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে যদি গণরুম সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তা হলে আমি গণরুমে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভিসি স্যারের বাসভবনে অবস্থান করব।’

শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় প্রশ্নে ডাকসুর নির্লিপ্ততার সমালোচনা করেন ছাত্রলীগের গত কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সৈকত।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তারা এখন ব্যক্তিরাজনীতি নিয়ে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন। ডাকসুর বড় বড় নেতারা শুধু টকশো নিয়েই ব্যস্ত আছেন আর একে অন্যকে দোষারোপ করে যাচ্ছেন। কেউ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলছেন না। উল্টো গণরুমকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত শিক্ষার্থীদের ‘গণরুম’ নামের দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডাকসু নির্বাচনে ভোট চেয়েছিলেন ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকত। ডাকসুর সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছয় মাসেও কোনো সমাধান দিতে না পারার আক্ষেপ থেকে সিট ছেড়ে এক মাস ধরে নিজেই গণরুমে থাকছেন।

কবি জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক ছাত্র সৈকত থাকতেন ৩২০ নম্বর কক্ষে। গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে সেখান থেকে তিনি গিয়ে উঠেন ২০৮ নম্বর কক্ষে। এই হলের অনেকগুলো গণরুমের মধ্যে এটি একটি।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন