ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, বহিরাগত রক্তাক্ত

  07-12-2019 10:30PM

পিএনএস ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল থেকে বহিরাগত তাড়ানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হলে অবৈধভাবে সিট দখল করে থাকা এক বহিরাগত আহত হয়েছেন। তার নাম সুজন (৩০)।

শনিবার সন্ধ্যার আগে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হলের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম ব্লকের ১৫২ নং কক্ষটিতে ৮ জন শিক্ষার্থী থাকতে পারেন। হলের বহু শিক্ষার্থী গণরুমে থাকলেও আটজনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ওই রুমটিতে একাই থেকে আসছিলেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও হল ইউনিয়নের সমাজসেবা সম্পাদক খান মিলন হোসাইন নিরব। তার সঙ্গে ওই রুমে সুজন (৩০) নামে এক ব্যক্তি প্রায় তিন বছর ধরে অবৈধভাবে থেকে আসছেন।

শনিবার বিকেলে হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক জুলিয়াস সিজার নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই রুমে যান। এ সময় মিলন হোসাইন নিরব রুমে ছিলেন না। তার প্রশ্রয়ে থাকা বহিরাগত সুজনকে রুমে পেয়ে সিজারের অনুসারীরা মারধর করে রক্তাক্ত করেন। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই বহিরাগত যুবকের বিছানাপত্র রুম থেকে বের করে দেন।

এদিকে রুমে হামলার খবর পেয়ে মিলন ছাত্রলীগের খুলনা অঞ্চলের নেতাকর্মীদের ডেকে লাঠিসোঠা ও রড নিয়ে সিজারের অনুসারীদের ধাওয়া করেন। ফলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ও হলের আবাসিক শিক্ষকরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। শিক্ষকরা তাৎক্ষণিকভাবে বহিরাগত সুজনকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন বলে হল সূত্রে জানা গেছে।

বহিরগত সুজনের কাছে সিট ভাড়া দেয়া হয়েছিল এমন অভিযোগ করে হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এসএম হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অছাত্ররা থাকছে। এখানে থেকে তারা বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। আমরা হল সংসদ ও হল ছাত্রলীগের সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি অছাত্র ও বহিরাগত উচ্ছেদ করে হলকে বৈধ ছাত্রদের জন্য বসবাসযোগ্য ও মাদকমুক্ত করবো। তার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে একজনকে ধরেছি। এ র নামে অভিযোগ আছে, সে সমাজসেবা সম্পাদক মিলন খানকে টাকা দিয়ে ভাড়া থাকে।

তবে অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বহিরাগত যুবক সুজন বলেছেন, আমার বাড়ি পটুয়াখালী কলাচিপায়। আমি বাড়িতেই থাকি। মাঝে মধ্যে এখানে মিলনের রুমে থাকি।

অন্যদিকে হল প্রভোস্টকে ভুক্তভোগী মিলন অভিযোগ করেছেন, সাধারণ সম্পাদক সিজার বরিশাল জোনের অনুসারীদের নিয়ে এসে রুমে হামলায় চালিয়েছে। এ ছাড়া রুমে আসা অতিথিদেরও অপমান করে। রুম দখলের উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে এসএম হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক সাব্বির রহমান বলেন, এটা এখন সমাধান হয়ে গেছে। তবে এ প্রকৃত ঘটনাটা কী তা তদন্ত করা হচ্ছে। সবকিছু না জেনে বিস্তারিত বলতে পারছি না।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন