সমাবর্তনের মাধ্যমে অর্জিত সার্টিফিকেটে ভুল

  30-01-2020 01:38AM



পিএনএস ডেস্ক: সমাবর্তনের মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেয়া সার্টিফিকেটে বিভাগ ও হলের নামের বানান ভুল পাওয়া গেছে। সার্টিফিকেটে বিভাগ ও হলের নামের বানান ভুল জানিয়ে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে এক গ্র্যাজুয়েট ফেসবুকে পোস্ট দেন।

পরবর্তীতে ভুলে ভরা আরও বেশ কিছু সার্টিফিকেটের ছবি প্রকাশ করেন অন্য গ্র্যাজুয়েটরা। সমাবর্তনের মাধ্যমে পাওয়া এসব মূল সার্টিফিকেটে এ ধরনের ভুলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন গ্র্যাজুয়েটরা।

তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং মূল সার্টিফিকেটে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ অন্তর্ভুক্ত লোক প্রশাসন বিভাগের ইংরেজি নামের বানানে ‘public’ এর জায়গায় ‘pablic’ লেখা হয়েছে। এছাড়া ছেলেদের আবাসিক হল শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের নামের বানানেও ভিন্নতা পাওয়া গেছে। কোনো কোনো সার্টিফিকেটে শহীদ বানান লেখা হয়েছে (shahid) আবার কোথাও লেখা হয়েছে (Shaheed)। এছাড়া ‘দত্ত’ শব্দটির নামের বানানেও কোথাও লেখা হয়েছে (Datta) আবার কোথাও (Dutta) লেখা হয়েছে।

পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের নামের বানানেও ভুল পাওয়া গেছে। বিভাগটির একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তাদের বিভাগের নামের বানানে অ্যাকাউন্টিং ও অ্যান্ড শব্দ দুটির মাঝে কোনো স্পেস না রেখে একসঙ্গে (Accountingand) লেখা হয়েছে।

সার্টিফিকেটে ভুলের বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী লোক প্রশাসন বিভাগের অষ্টম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েট মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতটা অজ্ঞ আর মূর্খ হলে কারও মূল সনদে এরকম ভুল করতে পারে; তা বোঝানোর ভাষা নেই। এরা কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পায়। এদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন জাগে মনে।’

এছাড়া মেয়েদের আবাসিক হল নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের নামের ইংরেজি বানানেও ভুল করা হয়েছে। হলটির নামের বানানে (Nawab Faizunnesa Chowdhurani) এর পরিবর্তে (Nawab faizunnissa Choudhurani) লেখা হয়েছে।

হলের নামের বানান ভুল নিয়ে রসায়ন বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লিমা আক্তার বলেন, আমরা মেয়েরা সবসময়ই অফিসিয়াল কাজ-কর্মে আমাদের হলের নাম ইংরেজিতে ‘Nawab Faizunnesa Chowdhurani Hall’ লিখে আসছি। এমনকি গুগলেও একইরকম বানান। কিন্তু আমাদের সার্টিফিকেটে দেখি অন্যরকম বানান। নামের বানান ভুল অবশ্যই বড় একটা ভুল। মানুষের নামের বানান ভুল হলে যেমন পরবর্তীতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় এসব নিয়েও ভোগান্তি পোহাতে হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে এতটা অসতর্কতামূলক কর্মকাণ্ড আশা করিনি।

সমাবর্তন উপলক্ষে গঠিত সনদ তৈরি ও বিতরণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, এটা গুরুতর কোনো সমস্যা না। আমরা পূর্ববর্তী সাময়িক সনদপত্র জমা রেখে শিক্ষার্থীদের মূল সনদপত্র দিয়েছি। আগের সনদপত্রে কোথাও ভুল থাকলে সেটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা জানতে চেয়েছি। অনেকেই হয়তো বলেনি। কিংবা পরীক্ষা দফতরের টাইপিং মিসটেক হতে পারে।

এর সমাধান জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাদের সমস্যা হয়েছে তারা আমাদের জানালে আমরা তা সমাধান করে দেব। সেক্ষেত্রে মূল সনদ যেটা দিয়েছি সেটা জমা রেখে তথ্য ঠিক করে একই সিরিয়ালে আবার মূল সনদ দেয়া যাবে।

গত ২৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচ থেকে অষ্টম ব্যাচ পর্যন্ত মোট পাঁচ হাজার ৬৪৮ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েট হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

পিএনএস/হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন