অবশেষে করোনার ছুটিতে প্রাথমিকে সুখবর দিলো ডিপিই

  04-04-2020 10:24PM

পিএনএস ডেস্ক : প্রস্তুতির অভাবে আগামীকাল ৫ এপ্রিল থেকে সংসদ টিভিতে প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হচ্ছে না। এর পরিবর্তে আগামী ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রতিদিন বিকাল ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রতি বিষয়ে ২০ মিনিটের ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি শ্রেণির দুটি ক্লাস প্রচারিত হবে। শুরুতে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস সম্প্রচার করা হবে। আজ অথবা আগামীকালের মধ্যেই রুটিন তৈরি হয়ে যাবে।

শনিবার রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ গণোমাধ্যমকে কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আগামীকাল ৫ এপ্রিল টেলিভিশনে শুরু হবার কথা ছিল প্রাথমিক স্তরের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান। রবিবার রেকর্ডিং ক্লাস সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারের কথা থাকলেও অদক্ষ শিক্ষকদের ভিডিও রেকোর্ডিং করায় তা প্রচার করা হচ্ছে না।

গত সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের কাছে শ্রেণি পাঠের ভিডিও ধারণ কার্যক্রমে যুক্ত হতে নিবন্ধন করতে বলা হয়। সেখানে শতাধিক শিক্ষক নাম নিবন্ধন করলেও ৪০ জন শিক্ষককে নির্বাচন করে ডিপিই। নির্বাচিতদের কাছে রেকর্ডিং করা ভিডিও চাওয়া হলে শিক্ষকরা যে সব ভিডিও পাঠিয়েছেন তা এডিটি করে টেলিভিশনে সম্প্রচার করার মতো নয়। শিক্ষকদের দক্ষতা না থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রাথমিকের শ্রেণি পাঠ কার্যক্রম টেলিভিশনে প্রচার শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডিপিই’র মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ জানিয়েছিলেন, শিক্ষকদের বাসায় তৈরি করা ভিডিও নিম্নমানের হওয়ায় তা এডিটি করে টেলিভিশনে সম্প্রচার করা যাচ্ছে না। পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা (শিক্ষকরা) স্টুডিওতে আসতে পারছেন না। আবার তারা ভিডিও তৈরি করে পাঠালেও তা ভালো মানের হচ্ছে না। এ কারণে যে সব শিক্ষকরা কাছাকাছি রয়েছেন, তাদেরকে রেকডিং স্টুডিওতে নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। এ টি বাস্তবায়নে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি, সব কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে টেলিভিশনে সম্প্রচারের সময়সূচি জানিয়ে দেয়া হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, অধিদফতরের ওয়েবসাইটে শিক্ষকরা নিবন্ধন করলেও দক্ষ ও সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে তাদের পাঠানো ভিডিও সম্প্রচার করা যাচ্ছে না। দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আগের চাইতে অনেক দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় সব শিক্ষকের তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তারা প্রজেক্টর ও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে থাকেন। দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের এ কাজে যুক্ত না করায় এটি বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন