পঞ্চম শ্রেণির জন্য তৈরি হচ্ছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস

পিএনএস ডেস্ক : নতুন করে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে। যদি ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হয়, তাহলে ৩০ দিনের সিলেবাস বাস্তবায়ন করা হবে। তবে খোলা না গেলে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। শিক্ষার্থীদের মৌলিক সক্ষমতা অর্জনের জন্য এ এমন পরিকল্পনা নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, নতুন করে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি (নেপ)। এ সিলেবাস বাস্তবায়ন না করা গেলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্ব-স্ব বিদ্যালয় নিজস্বভাবে পাসের সনদ দিতে হবে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকের সব শ্রেণিতেই অটো পাস পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। করোনা মহামারির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে না পারায় বাতিল করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মৌলিক সক্ষমতা (কোর কম্পিটেন্ট) অর্জনের জন্য অক্টোবর থেকে একটি এবং নভেম্বর থেকে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। এর উদ্দেশ্য ছিল পরবর্তী শ্রেণিতে যাতে শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণের সক্ষমতা অর্জন করে।

এছাড়া এই সিলেবাস বাস্তবায়নের মাধ্যমে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন করার কথা ছিলো। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে দুটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসই বাতিল করা হয়েছে। যদি এটিও বাস্তবায়ন করা না যায় সেক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে অটো পাস।

মন্ত্রণালয়ের জরিপ অনুযায়ী, গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ ৭১ কার্যদিবস বিদ্যালয় বন্ধ। সে কারণে পঞ্চম শ্রেণির ৪০৬টি স্বাভাবিক পাঠদান সম্ভব হয়নি। গত ১৭ মার্চ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পাঠদান সম্পন্ন হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রাথমিক ও ইবতেদায়ির শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে। তবে পুরো বিষয়টি কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও করোনার পরিস্থিতি অনুযায়ী।

পিএনএস/এসআইআর