আমাকে ধ্বংস করতে চান ঢাবির এক ‘ক্ষমতাধর নারী’: সামিয়া রহমান

  03-03-2021 03:02AM

পিএনএস ডেস্ক : বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাননি দাবি করে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এমন বক্তব্য দেন এ শিক্ষিকা।

এবার সামিয়া জানালেন, কে এই ষড়যন্ত্রকারী। সংবাদ সম্মেলনের একদিন পরই মঙ্গলবার ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সামিয়া রহমান।

স্ট্যাটাসে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাকে একেবারে ধ্বংস করতে প্রতিশোধপরায়ন হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উচ্চপদস্থ ক্ষমতাধর নারী। তবে স্ট্যাটাসের কোথাও ওই নারীর নাম উল্লেখ করেননি সামিয়া।

সামিয়া রহমানের সেই স্ট্যাটাসটি পাঠকের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো -

‘শুনলাম আমার এই প্রেস কনফারেন্সে চরম ক্ষুব্ধ, রাগান্বিত, এবং আমাকে একেবারে ধ্বংস করতে প্রতিশোধপরায়ন হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উচ্চপদস্থ ক্ষমতাধর নারী। যেহেতু তার নামটিও চলে এসেছে আমার বক্তব্যে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে বিভিন্ন ইন্টারভিউতে অথবা প্রেস কনফারেন্সে। তিনি এখন ভয়াবহ প্রতিশোধপরায়ন হয়ে গতকাল (সোমবার) সকল সাংবাদিকদের ডেকে ডেকে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করার জন্য উসকাচ্ছেন। বলছেন যে কোনোভাবে সামিয়াকে ধ্বংস করে দিতে হবে।যে কোনো নিউজ দিয়ে, তা মিথ্যা হোক আর যাই হোক। সাংবাদিকদের কাছেই শুনলাম যাদের যাদের তিনি ফোন দিয়েছিলেন। বললেন সত্য-মিথ্যার ধার ধারিনা, যে কোনো মূল্যে সামিয়াকে শেষ করতে হবে।যে কোনো নিউজ করতে হবে সামিয়ার বিরুদ্ধে। প্রয়োজন হলে আমার সকল আর্টিকেলকে প্লেজারিজম বলে প্রমাণ করতে হবে।কারন পদ ক্ষমতা তার হাতে, তিনি যদি বলেন তবে এগুলো জনগণ মেনে নেবে।সাংবাদিকরা বললে জনগণ মেনে নেবে। যে করেই হোক সামিয়াকে টিকতে দেয়া হবেনা। সামিয়ার এতো বড় সাহস আমাদের বিরুদ্ধে প্রেস কনফারেন্স করে! এবার আমি তাকে শেষ মারটা দেব।’

সামিয়া রহমান আরও লেখেন, ‘উনার এত ক্ষোভ, এত আক্রোশ কেন আমার বিরুদ্ধে? ...অ্যালেক্স মার্টিনের মিথ্যা চিঠির ষড়যন্ত্রের কি তিনিই তাহলে হোতা? প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে আমাকে শেষ মার দেবার চেষ্টা?...যার নিজের বিরুদ্ধে প্ল্যাজারিজমের অভিযোগ আসে, তাঁর ক্ষমতার ভয়ে ২/৩টি বাদে আর কোনো মিডিয়া সাহস পায় না তাঁর বিরুদ্ধে কাভারেজ করার, যিনি নিজে প্ল্যাজারিজমের সঙ্গে যুক্ত, অন্তত ৫/৬টি আর্টিকেলে, তিনি আবার কীভাবে অন্যকে নৈতিকতার কথা বলেন?’

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি গবেষণা প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান এবং অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের পদাবনতি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুককেও একই শাস্তি দেওয়া হয়।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন