জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত

  24-08-2016 11:21AM



পিএনএস, জবি: হলের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবারের মতো বুধবারও ক্যাম্পাসে ধর্মঘট পালন করছে তারা।

পরিত্যক্ত পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের জমিতে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে এ আন্দোলন করছে তারা।

আন্দোলনের ২৩তম দিনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ফটকে তালা ঝুলিয়ে সেখানে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা।

এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে পুরানা পল্টনমোড়ে এসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় উভয়দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আজও পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ক্যাম্পাস ও অন্যান্য পয়েন্টে পুলিশকে সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন স্থগিত করবে না। আজ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে ইঙ্গিত দেন আন্দোলনকারীরা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মাদ বলেন, “শিক্ষকেরা ক্লাসমুখী। শিক্ষকেরা ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার জন্য ক্যাম্পাসে আছেন। একাডেমিক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে কিনা তাদের ব্যাপার।”

কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিত্যক্ত জমিতে চার নেতার নামে আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে গত ২ আগস্ট থেকে টানা আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

২০১৪ সালের ২৩ মার্চ কেন্দ্রীয় কারাগারের জমির দাবিতে জবি কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর আবেদন করে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কোনো সাড়া মেলেনি।
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন অনেকেই৷ সাংবাদিক ও লেখক আনিসুল হক, গণ জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ড. ইমরান এইচ সরকারসহ অনেকেই জানিয়েছেন, তারা মনে করেন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া উচিত৷

আনিসুল হক জানতে চেয়েছেন, ‘‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল কেন থাকবে না?”

ড. ইমরান এইচ সরকার লিখেছেন , “সাবাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়! আপনাদের আবাসিক হলের দাবির সঙ্গে একাত্বতা জানাচ্ছি৷ ন্যায্য দাবির আন্দোলনে দমন-পীড়ন, টিয়ার শেল নিক্ষেপেরও নিন্দা জানাচ্ছি৷ ইতিহাসের শিক্ষা, অধিকার আদায় করে নিতে হয়৷ অধিকার আদায়ের ন্যায্য লড়াইয়ে সংহতি রইলো।”

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন