পিএনএস: ২০০২ সালে ‘লাক্স আনন্দধারা’ প্রতিযোগিতায় সে বছর কুসুম শিকদার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সে বছরই এই প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছিলেন বি-বাড়িয়ার মেয়ে তেরেসা মুস্তাফিজ চৈতী। কিন্তু সে সময় অভিনয় কিংবা বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করার তার ভীষণ আগ্রহ থাকলেও পরিবারের কিছুটা অসম্মতি ছিল। যে কারণে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন র্যািম্প তারকা বিবি রাসেলের সঙ্গেই কাজ করেছেন আট বছরের কিছুটা বেশি সময়। আর তাই লাক্স প্রতিযোগিতা থেকে বের হওয়ার পর অভিনয়ে তার দেখা মিলেনি। তবে লাক্স প্রতিযোগিতায় আসার আগেই তিনি আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় সানক্রেস্টের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছিলেন। অনেকটা সময় চলে যাওয়ার পর অভিনয়ের প্রতি চৈতীর অদম্য আগ্রহ দেখে পরিবার থেকে সম্মতি মিলেছে। এরপর প্রথম অভিনয় করেন হুমায়ূন আহমেদের নির্দেশনায় ‘কালা কইতর’ ধারাবাহিক নাটকে। এরপরই সুযোগ পান তিনি হুমায়ূন আহমেদের নির্দেশনায় ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’ চলচ্চিত্রে কাজ করার। এখন পর্যন্ত দুটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন চৈতী। আরেকটি হচ্ছে মানিক মানবিকের ‘শোভনের স্বাধীনতা’, যা চলতি বছরের শুরুতে মুক্তি পায়। এই সময়ে এসে চৈতী অভিনয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। অভিনয় করছেন ধারাবাহিক নাটক ‘পরম্পরা’, ‘লেডি গোয়েন্দা’, ‘গাঁয় মানে না আপনি মোড়ল’ ও ‘ডিবি’তে। চৈতী বলেন, আমি সবসময়ই একটু ধীরস্থির গতিতে বিশ্বাসী। যে কারণে আমার মিডিয়ার ক্যারিয়ারে কখনোই একসঙ্গে অনেক কাজ করা হয়ে ওঠেনি। আমি একটু চুপচাপ থাকতে যেমন ভালোবাসি, স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, ঠিক তেমনি ভালো কাজ কম হোক কিন্তু মান ধরে রেখে কাজ করার চেষ্টা করি। অল্প কাজ করেই দর্শকের কাছ থেকে যে সাড়া পাই তাতেই সন্তুষ্ট আমি। প্রসঙ্গত, ‘সানক্রেস্ট’ ছাড়া চৈতীর উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞাপন হচ্ছে ‘তিব্বত’, ‘মেরিল’, ‘হুইল’, ‘মুসকান’।
পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্
এ সময়ে চৈতী
27-10-2016 06:56AM