‘চ্যালেঞ্জ নিতে আমি সব সময় পছন্দ করি’

  03-12-2016 12:31PM


পিএনএস ডেস্ক: ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সংগীতের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। এখনও স্টেজে তিনি যেমন সরব, তেমনি অ্যালবাম ও প্লেব্যাকেও। এরই মধ্যে ১৮ টি বছর পারি দিয়ে ফেলেছেন সংগীত জগতে। অনেক অল্প বয়সে গানের জগতে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিলো কনার। তবে সহসাই সফলতা ধরা দেয়নি। শুরুতে বেশ স্ট্রাগল করতে হয়েছিলো তাকে। অনেক চরাই উতরাই পার করে এখন চলচ্চিত্র, অ্যালবাম ও স্টেজে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন তিনি। এরই মধ্যে বেশ কিছু জনপ্রিয় গানও উপহার দিয়েছেন। তার গাওয়া ‘ধিমতানা’ কিংবা ‘জ্যামিতিক ভালোবাসা’ অনেকেরই মুখে মুখে। চলচ্চিত্রেও তার গাওয়া বেশ কিছু গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। এতটা দীর্ঘ পথ সংগীতে পাড়ি দেয়া প্রসঙ্গে কনা বলেন, আসলে পথ চলাটা অত সহজ ছিলো না।

তবে ধীরে ধীরে শ্রোতাদের ভালোবাসায় আমি আজকের কনা হয়েছি। তাই আমার এখানে আসার পেছনকার সবটুকু কৃতিত্ব দিতে চাই শ্রোতাদের। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞও বটে। এদিকে মিউজিক ভিডিওর ক্ষেত্রে কনা অন্য অনেক শিল্পী থেকে এক ধাপ এগিয়ে। কারণ তার গানগুলোর ভিন্ন মাত্রার মিউজিক ভিডিও দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছে দারুণভাবে। প্রতিটি ভিডিওতেই নতুন চমক রাখেন তিনি। বর্তমানে স্টেজেও কনার ব্যস্ততা ব্যপক। প্রায় প্রতিদিনই শো করছেন। এর বাইরেও জিঙ্গেল গাইছেন ও বিজ্ঞাপনেও কন্ঠ দিচ্ছেন তিনি। চলতি বছর দুটি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে কনার। একটির নাম ‘সেলফি’ আর অন্যটির নাম ‘সিম্পলি কনা’। এ দুটি অ্যালবামের গানই শ্রোতামহলে প্রশংসিত হয়েছে। তবে এই দুই অ্যালবামের গানগুলোকে ছাপিয়ে কনা এ বছর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেছেন সিঙ্গেল ‘রেশমি চুড়ি’ দিয়ে।

গানটি মাত্র ৯ মাসে ইউটিউবে উপভোগ করেছেন ৬৮ লাখেরও বেশি দর্শক। গানটিতে অসাধারণ গেয়ে ও পারফর্ম করে প্রশংসিত হয়েছেন এ শিল্পী। গানটির কথা লিখেছেন কলকাতার প্রিয় চট্রপাধ্যায় আর সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ সেন। ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন শিবরাম শর্মা। পাশাপাশি এর কোরিওগ্রাফিও করেছেন তিনি। এর আগে কনাকে বিভিন্ন গানে নাচতে দেখা গেছে। কিন্তু এভাবে পুরো গানে নায়িকা রূপে দেখা যায়নি। এদিকে নতুন আরও বেশ কিছু গানের কাজ এখন করছেন কনা। তবে এগুলো সিঙ্গেলস আকারে প্রকাশ করবেন নাকি অ্যালবাম করবেন তা ঠিক করেননি। বেশ কজন সংগীত পরিচালকের সঙ্গেই নতন গানের কাজ করছেন তিনি। অন্যদিকে অডিওর চাইতেও চলচ্চিত্রের গানে কনার ব্যস্ততা এখন বেশি। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন চলচ্চিত্রের গানে কন্ঠ দিচ্ছেন। সর্বশেষ ইমরানের সঙ্গে কনার গাওয়া ‘বসগিরি’ ছবির ‘দিল দিল দিল’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গানটি চলতি বছরের অন্যতম জনপ্রিয় সিনেমার গান হিসেবেও উঠে এসেছে।

এ প্রসঙ্গে কনা বলেন, চলচ্চিত্রে আমার গাওয়া গানগুলো শ্রোতারা পছন্দ করছেন এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আমি নিজেও এ মাধ্যমে গান গাইতে খুবই স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ করি। তাছাড়া এখানে গান গাওয়ার ক্ষেত্রে একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। গল্প ও অভিনয়শিল্পীর কথা মাথায় রেখে গান করতে হয়। আর চ্যালেঞ্জ নিতে আমি সব সময় পছন্দ করি। এদিকে ভার্সেটাইল কণ্ঠশিল্পী কনা গানের বাইরে বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলেও নিজের প্রতিভার বিষয়টি জানান দিয়েছেন অনেক আগেই। এর পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে কন্ঠ(ভয়েজ ওভার)ও দিচ্ছেন। গানের বাইরে এ কাজগুলো একেবারেই আলাদা। এগুলো করতে কেমন লাগে? উত্তরে কনা বলেন, গানতো আমি শুরু থেকেই শিখে এসেছি। তাই এটা করতে তেমন একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু বিজ্ঞাপনে কন্ঠ দেয়ার ব্যাপারটা শেখার বিষয় নয়। বিষয়টি আমি অনেক উপভোগ করি। প্রায় প্রতিদিনই আমি জিঙ্গেল গাইছি নতুবা নতুন বিজ্ঞাপনে কন্ঠ দিচ্ছি। টিভি সেটের সামনে বসলে নিজের কন্ঠের বিজ্ঞাপন একের পর এক চলতে থাকে। জিঙ্গেলের বেলায়ও তেমন।

এটা খুবই ভালো লাগার বিষয়। বর্তমানে অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? কনা বলেন, এখনতো মনে হয় ইন্ডাস্ট্রি ভালোর দিকেই যাচ্ছে। কারণ পুরোনো কোম্পানিগুলো ফেরা শুরু করেছে। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো এগিয়ে এসেছে গানের পৃষ্ঠপোষকতায়। আমি নিজেই দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছি। এই অবস্থাটা যেন সব সময় থাকে সেটাই চাওয়া।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন