আত্মহত্যা করতে গিয়ে ছিলেন ঐশ্বরিয়া!

  04-12-2016 01:22PM

পিএনএস ডেস্ক: সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে পরিবারের ভিতরে যে পরিমাণ অসন্তোষ জমা হয়েছিল, তাতে সুস্থ, স্বাভাবিক জীবন চালানো কোনোমতেই সম্ভব হচ্ছিল না তার। আর তাই কোনো উপায় না দেখে ঐশ্বরিয়া রাই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার খেলায় মেতে ওঠেন। আত্মহত্যা করতে উদ্যত হন অভিষেক বচ্চনের স্ত্রী।

‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ঠোকাঠুকি চলছিল তার পরিবারের। জয়া বচ্চন প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন পুত্রবধূর। রণবীর কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অভিনয় ভালোভাবে নিতে পারেনি বচ্চন পরিবার।

স্বামী অভিষেক বচ্চন ঐশ্বরিয়া অভিনীত ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমা দেখতে যাননি বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো মিডিয়ায়। ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে বচ্চন পরিবারের অসন্তোষ এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে এই ডাকসাইটে সুন্দরী জীবন সম্পর্কে সব আশা আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে গিয়েছিলেন। এই খবর জানার পরে বচ্চন পরিবার সুন্দরী অভিনেত্রীকে হাসপাতালেও নিয়ে যায়নি।

হাসপাতালে ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে যাওয়া হলে খবরটা ছড়িয়ে পড়বে দাবানলের মতো। লোক জানাজানির ভয়ে বচ্চন পরিবার পারিবারিক চিকিৎসককে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সেখানেই ঐশ্বরিয়া চিকিৎসা হয়। কোনোমতে সেই যাত্রায় চিকিৎসক উদ্ধার করেন বিশ্বসুন্দরীকে।

ঘটনা হলো, ‘আউটলুক পাকিস্তান’ শীর্ষক একটি ব্লগের মাধ্যমে এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে লেখা হয়, আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। তার আত্মহত্যা করতে যাওয়ার পিছনে কারণ একটাই। তা হলো পারিবারিক অশান্তি।

সেই ব্লগে এমনও লেখা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঐশ্বরিয়া নাকি বলেছেন, ‘আমাকে মরতে দিন। এ রকম ঘৃণ্য জীবন কাটানোর থেকে মরে যাওয়াও ভালো।’ গত বুধবার সন্ধ্যায় এত বড় একটা মিথ্যা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে। দেশের বেশ কয়েকটি ট্যাবলয়েডেও সেই খবরটি স্থান পেয়েছিল।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন