শাবনূরের ঘর ভাঙার খবর মিথ্যা

পিএনএস ডেস্ক : এক দশক আগেও চলচ্চিত্রে রানী ছিলেন শাবনূর। তার দিন-রাত কাটতো চলচ্চিত্র নিয়ে। অসংখ্য ব্যবসা সফল ছবিতে তিনি দ্যুতি ছড়িয়েছেন। ছিলেন প্রযোজক-নির্মাতাদের আস্থার খুঁটি। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন শাবনূর। তার স্বামী যশোরের ছেলে অনিক মাহমুদ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করলেও পেশায় ব্যবসায়ী।

বর্তমানে চলচ্চিত্র ছেড়ে কিছুটা দূরে থাকলেও স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন শাবনূর। তবে চলতি সপ্তাহে চলচ্চিত্র পাড়ায় গুঞ্জন রটে, ঘর ভাঙছে শাবনূরের! এমন খবরের সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হয় শাবনূরের স্বামী অনিকের সঙ্গে। ব্যবসার কাজে তিনি এখন ঢাকায়।

বিচ্ছেদের কথা জিজ্ঞেস করতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন অনিক। তিনি বলেন, ‘একেবারেই মিথ্যা বানোয়াট একটা কথা আমাদের ঘর ভাঙছে! আমি দেশে ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকায় অস্ট্রেলিয়া যেতে পারছি না। তবে মুঠোফোনে দৈনিক কয়েকবার যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা ভালো আছি, সুখেই আছি।’

অনিক বলেন, ‘শাবনূর অস্ট্রেলিয়ায় সিটিজেনশিপ পেয়েছে। আর দীর্ঘদিন ধরে সেখানে তার থাইরয়েডের চিকিৎসা চলছে। এই সপ্তাহেও দুবার ডাক্তারের কাছে গেছে বলে আমাকে জানিয়েছে। আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। যারা আমাদের ঘর ভাঙার খবর ছড়াচ্ছেন তারা এটা নিজেদেরে কাটতি বাড়াতেই করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই খবরটি শুনে শাবনূর খুব আহত হয়েছে। ক্ষোভও প্রকাশ করেছে। একজন সিনিয়র শিল্পীর প্রতি গণমাধ্যমের এমন দায়সারা, অন্যায় আচরণ মেনে নেয়া যায় না। এদিকে অনেকেই আমাকে বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে যেতে পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে আমি এসব পাত্তা দিতে চাই না। ভালোর ভিড়ে মন্দ চিরকালই ছিল। আমাদের দেশের গণমাধ্যমেও আছে। এসব নিয়ে হতাশার কিছু নেই।’

শাবনূরের ভক্তদের কাছে দোয়া চেয়েছেন অনিক। তিনি শাবনূরের দেশে আসা প্রসঙ্গে জানান, ‘শাবনূর আসছে জানুয়ারিতেই দেশে ফিরবে। সে আবার চলচ্চিত্রে ফিরবে। আমি যতদূর জানি, তার ফেরার অপেক্ষায় আছেন কয়েকজন নির্মাতা। আর যে ছবিগুলোর কাজ বাকি সেগুলোর কাজও শেষ করবে।’

চলতি বছরের আগস্টে শাবনূর অস্ট্রেলিয়া যান। সেখানে তার একমাত্র ছেলে আইজান, বোন ঝুমুর এবং ভাই তমাল আছেন। তাদের সঙ্গে গত অক্টোবরে যোগ দেন শাবনূরের মা।

দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে মানসম্মত অভিনয় দিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রকে নান্দনিকতা দিয়েছেন শাবনূর। দিয়েছেন কালজয়ী অনেক ছবি উপহার। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। সেই প্রিয় মুখ, প্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর পরিবার নিয়ে সুখে থাকবেন, ভালো থাকবেন শুভাকাঙ্ক্ষীদের এটাই চাওয়া।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম