জনপ্রিয় অভিনেতা মিজু আহমেদের শেষ শ্রদ্ধা সকালে

  28-03-2017 09:31AM

পিএনএস: খল অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন মিজু আহমেদ। সোমবার তার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। ৬৪ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি দেওয়া এ অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন শিল্পীরা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এফডিসির জহির রায়হান কালারল্যাবের সামনে মিজু আহমেদকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। এখানেই হবে তার নামাজে জানাযা। এরপর লাশ দাফনের জন্য নেওয়া হবে কুষ্টিয়ায়।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান জানান, মিজু ভাইয়ের দুটি জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে নয়টায় পান্থপথে (স্কয়ার হাসপাতালের বিপরীতে) তার অ্যাপার্টমেন্টের নিচে প্রথম নামাজে জানাযা হবে। এরপর তাকে নেওয়া হবে এফডিসিতে।

মিজু আহমেদের লাশ কোথায় সমাহিত করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অমিত বলেন, ‘এফডিসিতে জানাযা হওয়ার পর তার লাশ নেওয়া হবে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। সেখানেই সমাহিত করা হবে।’

মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম নাম হচ্ছে মিজানুর রহমান। শৈশবকাল থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সাথে অন্তর্ভুক্ত হন।

১৯৭৮ সালে তৃষ্ণা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কয়েক বছর পরে তিনি ঢালিউড চলচ্চিত্র শিল্পে অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়াও তিনি তার নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজ এর ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।

তার অভিনীত ছবিগুলো মধ্যে হচ্ছে- তৃষ্ণা (১৯৭৮), মহানগর (১৯৮১), স্যারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুন্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪), মহিলা হোস্টেল (২০০৪), ভন্ড ওঝা ২(০০৬) ইত্যাদি।

তৃষ্ণা সিনেমায় অভিনয় করে তিনি ১৯৯২ সালে সেরা অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন