বিব্রত মৌসুমী হামিদ : ‘ধর্ষক’ নাঈমের সঙ্গে সেলফি নিয়ে যা বললেন

  18-05-2017 09:36PM

পিএনএস ডেস্ক : রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় সর্বশেষ গ্রেফতার হওয়া আসামি এইচ এম হালিম ওরফে নাঈম আশরাফকে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগর হাকিম এস এম মাসুদুজ্জামানের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি আসামিকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


এদিকে এই দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সারাদেশের মানুষ। পাশাপাশি চর্চা হচ্ছে ‘ধর্ষক’ নাঈম আশরাফের সেলফি নিয়ে। বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন শোবিজের অনেকে। তেমনই একজন ছোট ও বড়পর্দার তারকা মৌসুমী হামিদ। এ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

সেলফি প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, “২০১৫ সালে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালের সহযোগিতায় ‘কনসার্ট ফর নেপাল’-এ আমাদের এক সহকর্মীর আমন্ত্রণে কলাবাগান মাঠে গিয়েছিলাম। সেখানে কনসার্টে পার্থ বড়ুয়াসহ অনেক সেলিব্রিটি অংশ নেন। সেই সময় ছবিটি তোলা হয়। কারো চেহারা দেখে তো ভালো-মন্দ বোঝা যায় না। তবে সম্প্রতি ধর্ষকের সঙ্গে ওই ছবি নিয়ে অপপ্রচার করা নিয়ে আমি খুব বিব্রত।”

তিনি আরো বললেন, ‘নাঈমের সঙ্গে ওই একবারই আমার দেখা হয়েছে। এর আগে অরিজিৎ সিং ও নেহা কাক্করের কনসার্টে পারফর্ম করার জন্য আমাকে সে বলেছিল। তবে যে কোনো কারণ বশত কাজটি করিনি।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌসুমী জানালেন, রাজধানীর একটি হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। সেখানে কয়েকদিন ধরে তার এক আত্মীয় চিকিৎসাধীন।

এ অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘একটা খুনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড না হলেও ধর্ষণের শাস্তি অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। প্রত্যেকটা ধর্ষণ মামলার বিচার যেন অবশ্যই এবং দ্রুত কার্যকর করা হয়। এটা পৃথিবীর জঘন্যতম অপরাধ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবারো যদি ওরা টাকার জোরে দু’দিন পর ছাড়া পায় আমার মনে হয় আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ সবাইকে চিনে ফেলেছে। সবার ছবি লক্ষবার দেখেছে সবাই। সারাজীবন তো ঘরের মধ্যে থাকবে না। বের তো হতেই হবে। বাকিটা বুঝে নেন। তারা মিডিয়ার শক্তি সম্পর্কে জানে না। স্টপ রেপ।’

এর আগে গত ১১ মে এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যার পর রাজধানীর নবাবপুর ও গুলশান থেকে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল ও অজ্ঞাতনামা একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন