চলেই গেলেন অভিনেতা রাতিন

  19-07-2017 10:13AM

পিএনএস ডেস্ক:না, সুস্থ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারলেন না মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা আবদুর রাতিনআব্দুর রাতিন।

রাজধানীর শাহবাগের পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ২.৩০ মিনিটে রাতিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে লিভার ও কিডনিজনিত রোগে ভুগেন। অবশেষে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। বাদ জোহর নারিন্দার বিনোদ বিবি মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে স্বামীবাগে পারিবারিক কবরস্থানে রাতিনকে দাফন করা হবে বলে তার ভাই অঞ্জন রহমান জানিয়েছেন।

রাতিন কিছু দিন পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কেবিন ব্লকে ২১৬ নম্বর কেবিনে কিছু দিন প্রায় অচেতন অবস্থায় ছিলেন বলে জানান অঞ্জন রহমান।

অঞ্জন রহমান আরো জানান, তার ভাই প্রথমে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে লিভার ও কিডনিজনিত রোগে ভুগেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

রাতিনের এক ছেলে ওমর ফারুক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করে একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করছেন। অভিনেতা রাতিন অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৭০ সালে মোস্তফা মেহমুদ পরিচালিত ‘নতুন প্রভাত’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দেবদাস’, ‘হারানো সুর’, ‘শুকতারা’, ‘জবাব চাই’, ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘চোরের বউ’, ‘মহান বন্ধু’, ‘লালু সর্দার’, ‘স্বার্থপর’ প্রভৃতি। তার অভিনীত মঞ্চ নাটকের সংখ্যা প্রায় শতাধিক।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন