আগামী দুই দশকের ব্লক ব্লাস্টার এই বাংলা ছবি

  16-10-2017 12:55PM


পিএনএস ডেস্ক: আগামী কুড়ি বছরের জন্য ব্লক ব্লাস্টার ছবি ‘সহজ পাঠের গপ্পো’। এমনটাই মনে করছেন জাতীয় পুরস্কার পেয়েও বানিজ্যিক ভাবে অসফল ছবির পরিচালক মানস মুকুল পাল। বক্স অফিসে অসফল। এই তকমা নিয়েই হল থেকে বিদায় নিয়েছে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবি ‘সহজ পাঠের গপ্পো’।

আরও একবার খাতায় কলমে অসফল হয়েই ফিরতে হচ্ছে আরও এক জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালককে। একান্ত সাক্ষাৎকারে kolkata24x7.com-কে জানালেন এই ছবি একসপ্তাহের ফ্লপ কিন্তু আগামী দুই দশকের ব্লক ব্লাস্টার হবে। তাঁর দাবি সব রেকর্ড ভেঙে দেওয়া আগামী কুড়ি বছরের রেকর্ডটি তৈরি হবে বাংলা ছবি প্রেমীদের মনে।

গত বছরেই জাতীয় পুরস্কার পেয়ে গিয়েছিল মানিস মুকুলের ‘সহজ পাঠের গপ্পো’। মুম্বই থেকে আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও জায়গা করে নিয়েছিল এই ছবি। এসমস্তসাফল্যই গত বছরের। ছবি আম দর্শকদের সামনে আসে সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখে।কিন্তু এক সপ্তাহ পেরিয়েও দর্শককে হলমুখো করতে ব্যর্থ হয়েছে এই ছবি। খাতায় কলমে যাকে বলা হয় ফ্লপ। এমনকি একটি স্পেস্যাল স্ক্রিনিংয়েও হত দুরস্ত অবস্থা ছিল এই অসাধারন মন ছুঁয়ে যাওয়া জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবির। মাল্টিপ্লেক্স হলে সেদিন মেরেকেটে ২৫ জন দর্শক ছিলেন হলে। যদিও যারা হলে ছিলেন তারাই বুঝেছিলেন এ ছবির কতটা কদর হওয়া উচিৎ ছিল।

কিন্তু আদতে হয়নি। সেই বিষয়েই গপ্পের পরিচালক মানস মুকুল পাল বললেন এই ছবি এক সপ্তাহ বাজার গরম করে পালিয়েযাওয়ার ছবি নয়। এই ছবি বাঙালির মনে আগামী দুই দশক রাজ করবার ছবি। যদি পিছনে ফিরে দেখা যায় সত্যজিত রায়ের পথের পাঁচালি প্রথমে ফ্লপ পরের গল্পটা ইতিহাস। ঋতুপর্ণ ঘোষের বেশীর ছবিই জাতীয় পুরস্কার পাওয়া। কিন্তু ব্যাপক হিট করেছে তেমন বলার মতো কোনও ছবি নেই। একই অবস্থা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়েরও। সেই দলেই পড়েছেন মানস মুকুল পাল।

অসাধারন ভাবে শিশু মনের সরলতার ছবি এঁকে যাওয়া ছবি হলে মুক্তি পাওয়ার পরে ফিরে গিয়েছে ‘ফ্লপ’ শব্দের চিৎকার শুনে। সেই প্রসঙ্গেই kolkata24x7-এর কাছে মনের কথা জানালেন তিনি। মানস মুকুলের কথায়। “এটা ঠিক যে আমার ছবি বড় ছবি যেমন ইয়েতি , ব্যোমকেশের মতো ছবির মতো বাজারে টিকতে পারেনি। কিন্তু আমি মনে করি আমার এই ছবি ২সপ্তাহ হল ফাটিয়ে পয়সা নিয়ে ঘরে ফিরে যাওয়ার ছবি নয়। আমি মনে করি ২০ থেকে ২৫ বছর বাঙালির মনে জায়গা করে নেবে এই ছবি।” পরিচালকের দাবি, “আগামী দুই দশকে ব্লক ব্লাস্টার থাকবে সহজ পাঠের গপ্পো”।

তবে আর্থিক সাফল্যটাকি কিছুই নয়? মানস জানিয়েছেন, “ সাফল্যের মাপকাঠি অবশ্যই আর্থিক দিকেও দেখার থাকে। কিন্তু সেটাই সব নয়। আমার কাছে এমন বহু প্রতিক্রিয়া এসেছে যেখানে ছবি দেখে অনেকেই ফিরে গিয়েছে তাঁর ছোটবেলায়। কেউ খুঁজে পেয়েছেন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যাওয়া বাবার স্মৃতিকে।

এটাই আমার পাওনা। এটাই সহজ পাঠের গপ্পোকে আগামী দিনে আরও বড় জায়াগায় নিয়ে যাবে।” যদি প্রত্যেকটা বাঙালির মনে থেকে যাওয়ার প্রসঙ্গই ধরা হয় সেটাও কি করতে পেরেছে “সহজ পাঠের গপ্পো”? মানসের ব্যখ্যা , “এমনিতেই হলে এসে মানুষের ছবি দেখার প্রবণতা কমেছে। সেখানে এই ধরণের ছবি হলে এসে দেখবে এইটা আশা করাটাই বৃথা।” মানস জানিয়েছেন, “আমার ছবিতে কোনও বড় স্টার নেই। দুটো গ্রামের বাচ্চা ছেলে ছবির হিরো।

তাদেরকে হলে দেখতে আসার মতো বোকামো বাঙালি করে না। আমরা সবাই খুবই বুদ্ধিমান।” তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন পরে কাজটাও হবে তাঁর এরকমই। যেখানে গল্প এবং ছবির কনটেন্টই হবে ছবির হিরো। সেটাই বারবার হিট তকমা দিয়ে যাবে। সূত্র: kolkata24x7

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন