অভিনয়ের আড়ালে দেহ ব্যাবসা করেন যে নায়িকারা

  14-12-2014 01:42PM

পিএনএস ডেস্ক: ( আলমগীর ইসলাম পাভেল),। অবৈধ যৌন ব্যবসা চালানোর দায়ে কিছু দিন আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন দক্ষিণী ছবির উঠতি অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ। অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে দেহ ব্যবসা চালাতেন এই নায়িকা। হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের এক অভিজাত হোটেলে ফাঁদ পেতে তাঁকে হাতেনাতে ধরেন গোয়েন্দারা।

শ্বেতা একাই নন, গত কয়েক বছর ধরে অর্থ উপার্জনের জন্য স্বেচ্ছায় শরীর বিক্রির ব্যবসায় নামার অভিযোগ উঠেছে সেদেশের বেশ কয়েকজন ম্যাটিনি আইডলের বিরুদ্ধেই। এমনকি, অভিযোগের ভিত্তিতে অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শ্বেতার চেয়েও গ্ল্যামার ও জনপ্রিয়তার নিরিখে বেশি এগিয়ে তামিল ছবির নায়িকা ভুবনেশ্বরী। ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে প্রতিবেশীরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন, প্রতি রাতে অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে যাতায়াত করেন অচেনা বহু পুরুষ। অভিযোগের ভিত্তিতে খদ্দের সেজে ভুবনেশ্বরীর ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ। দেখা যায়, সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত রয়েছেন দুই যুবতী মডেল। নায়িকার সঙ্গে তাঁদেরও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় জানা যায়, কেরল ও তামিলনাডুর উঠতি অভিনেত্রী এবং মডেলদের জুটিয়ে রমরমিয়ে মধুচক্র চালান ভুবনেশ্বরী।

২০১৩ সালে তিন পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় যোধপুরের এক হোটেলে ধরা পড়েন তামিল ছবির আরেক নায়িকা এশ আনসারি। টিভি-তে বেশ কিছু ধারাবাহিক ছাড়াও বড় পর্দায় সবে মুখ দেখাতে শুরু করা এশকে অবৈধ যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

তদন্তে জানা যায়, দেশজুড়ে এসকর্ট সার্ভিসের ব্যবসা চালান এই অভিনেত্রী। যে কোনও শহরের হোটেল বা রিসর্টে মনোমতো যৌন পরিষেবা দেয় তাঁর সংস্থা। তাঁর গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কিছু বিদেশি পুরুষ। মজার কথা, বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে অভিনয় করেন এশ। ছোট ভূমিকায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘চলতে চলতে’ ছবিতেও।

কিছু দিন আগে মুক্তি পেয়েছিল হিন্দি ছবি ‘লাইফ কি তো লাগ গয়ি’। ছবির বাঙালি নায়িকা মিষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নামও ইদানীং জড়িয়েছে যৌন ব্যবসায়। পুলিশি হানায় তাঁকে দিল্লির এক ফ্যাশন ডিজাইনার রাকেশ কাটোরিয়ার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। ওশিওয়ারায় তাঁর বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে এক লাখ অশ্লীল ছবির সিডি ও ডিভিডি।

জানা গেছে, এই অভিনেত্রীর গোটা পরিবারই যৌন ব্যবসায় লিপ্ত। এই কারণে পুলিশ মিষ্টির দাদা ও বাবাকেও গ্রেপ্তার করে। মিষ্টির প্রতিবেশীদের মধ্যে রয়েছেন অন্তত ৭০ জন আইএএস ও আইপিএস অফিসার। কিন্তু তাঁদের নাকের ডগায় বসে দিব্যি দিনের পর দিন মধুচক্র চালিয়ে গিয়েছে মুখোপাধ্যায় পরিবার।

যৌন ব্যবসায় নাম জড়িয়েছে দক্ষিণের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা যমুনার। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে বেঙ্গালুরুর এক অভিজাত হোটেলে মধুচক্র চালানোর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যমুনার গ্রাহকরা সকলেই হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব। মোটা টাকার বিনিময়ে ফাইভ স্টার হোটেলে নায়িকা ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে শরীরী খেলায় মাততেন তাঁরা। যমুনার সঙ্গেই গ্রেপ্তার করা হয় আরও আটজন যুবতীকে।

এছাড়া, তেলেগু ধারাবাহিকের দুই হিট নায়িকা শ্রাবণী ও সায়রা বানোকেও যৌন ব্যবসা চালানোর দায়ে ২০১৩ সালে দুই হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এঁরা দু’জনেই মধুচক্র চালাতেন বলে জানা গিয়েছে।

রুপোলি পর্দার টানে অভিনয়ের পেশা বেছে নিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু সেই পরিচয়ের আড়ালে দেহ ব্যবসার রমরমা কী কারণে বেড়ে চলেছে, তা নিয়ে ধাঁধায় গোয়েন্দারা।

পিএনএস/ পাভেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন