সিম্বা সফল না হলে কাজ পেতাম না: রণবীর

  16-01-2019 02:09AM

পিএনএস ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং। ২০১৮ সালের শুরুতে পদ্মাবত ছবি দিয়ে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন, পেয়েছিলেন ব্যবসায়িক সফলতা। আর বছরের শেষ দিকে এসে সিম্বা ছবি দিয়ে কাঁপিয়ে দিলেন বক্স অফিস। ঘরে তুলেছে ৩৫০ কোটি রুপিরও বেশি। সালটা রণবীরের জন্য লাকি বটে!

সে কথা স্বীকার করলেন রণবীর নিজেও। বললেন, পুরো বছরটা ম্যাজিকাল! একদিকে আলাউদ্দিন খিলজির মতো ঐতিহাসিক চরিত্রে, অন্যদিকে পুলিশ। ‘পদ্মাবত’-এ প্রচুর এনার্জির প্রয়োজন ছিল চরিত্রটার জন্য। আবার ‘সিম্বা’ নিখাদ এন্টারটেনমেন্ট মুভি। ‘সিম্বা’ হিট হওয়া আমার কাছে খুব জরুরি ছিল। না হলে সঞ্জয় লীলা বানসালি ছাড়া আর কেউ আমার সঙ্গে ছবি করতেন না।

ব্যক্তিগত জীবনেও বছরটা চিহ্নিত হয়ে থাকবে রণবীরের জন্য। বলেন, নভেম্বর মাসটা আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল। লেক কোমোতে আমাদের বিয়েটা পুরো স্বপ্নের মতো। পুরো কৃতিত্বই অবশ্য আমার স্ত্রী দীপিকার। ওই সব পরিকল্পনা করেছে। এর বেশি আর কী-ই বা চাইতে পারি!

এখানেই অবশ্য শেষ নয়। নতুন বছরের গোড়াতেই মুক্তি পেয়েছে ‘গাল্লি বয়’র ট্রেলার। ট্রেলারের ভিউজ় বলে দিচ্ছে ছবির জনপ্রিয়তা। ট্রেলারে হিরের মতোই দ্যুতি ছড়াচ্ছে রণবীর-আলিয়া জুটি। তারপরেই ‘এইট্টি থ্রি’, যেখানে কপিল দেবের মতো এক জন খেলোয়াড়কে পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন রণবীর।

বলেন, কেরিয়ারের গোড়াতেই ঠিক করে নিয়েছিলাম, প্রত্যেকটা ছবিতে ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করব। ভিন্ন পেশার, চরিত্রের মানুষকে ফুটিয়ে তোলাই আমার কাছে চ্যালেঞ্জ।

রণবীরের প্রাপ্তির ঘর এখন পূর্ণ। এত পাওয়ার মাঝে ভয় করে না কিছু হারিয়ে ফেলার? স্পষ্ট উত্তর, না। কারণ সাফল্যে যেমন ভেসে যাই না, ব্যর্থতাও আমাকে হতাশ করতে পারে না। আমি মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী। ছবির ফল ভালো-খারাপ যা-ই হোক না কেন, মেনে নিই। জীবনে অনেক ব্যর্থতা দেখেছি। মনে করি, পৃথিবীতে সব ভালোর সঙ্গে যেমন কিছু খারাপ থাকে, সব খারাপের সঙ্গেও কিছু ভালো থাকে।

ক্যারিয়ারের শুরুতে রণবীরকে অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে। এখন হয়তো সেই জয় উপভোগের সময়। কর্মজগতে সিনিয়রদের সঙ্গ পাওয়াকেও নিজের সৌভাগ্য বলেই মনে করেন তিনি। বলেন, আমি খুব ভাগ্যবান যে, নব্বইয়ের দশকের ছবি দেখে বড় হয়েছি। ছোটবেলায় অক্ষয় কুমার, অনিল কাপুর, গোবিন্দর যে ছবি বের হতো, সব দেখতাম। আর তখনই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে, বড় হয়ে তাদের মতো অভিনয় করব। আর এখন যখন তাদের সামনে দেখি, তারা আমার কাজের প্রশংসা করেন, তখন অদ্ভুত অনুভূতি হয়! সম্প্রতি ‘গাল্লি বয়’র ট্রেলার দেখে অমিতাভ বচ্চন স্যর অভিনন্দন জানিয়ে মেসেজ করেছেন। কাঁধে সিনিয়রদের এই হাতটাই আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।



কাজের জগতে এত ব্যস্ততার মাঝেও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন রণবীর সিং। ছবির শুটিং, প্রোমোশন, সাকসেস পার্টি সব কিছুর পরে তিনি যখন বাড়ি ফেরেন, তখন পাঁচজনের মতোই সাধারণ।

বলেন, বাড়ি ফিরে দীপিকার সঙ্গে সময় কাটাতে চেষ্টা করি। কর্ম ও ব্যক্তি জীবনে ব্যালান্স বজায় রাখতে চাই। সেটা সম্ভবও হচ্ছে দীপিকার জন্য। ও ভীষণ ডিসিপ্লিন্‌ড। আশা করি, দীপিকার কিছু গুণ আমার মধ্যে আসবে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন