মান ভেঙেছেন কবি, তবে...

  17-02-2019 12:27AM



পিএনএস ডেস্ক: মান ভেঙেছেন ‘সোনালি কাবিন’র কবি আল মাহমুদ! এক বছরেরও বেশি সময় পর তিনি ফিরেছেন তার পৈতৃক নিবাসে। তবে কারও সঙ্গেই কথা বলছেন না কবি, গভীর ঘুমে মগ্ন তিনি। আর কোনোদিন কবির সেই ঘুম ভাঙবে না। শনিবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে কবি আল মাহমুদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মৌড়াইল মহল্লায় পৈত্রিক নিবাসে এসে পৌঁছায়। এভাবে প্রাণহীন দেহে কবির বাড়ি ফেরা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। তাইতো মরদেহ বাড়ির উঠানে রাখার পরই শুরু হয় কবির স্বজন ও শোভাকাঙ্ক্ষীদের আর্তনাদ। সবার চোখেই টলমল করছে জল। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান এ কবির বিয়োগে হাহাকারে ছেয়ে গেছে চারপাশ।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা ৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি আল মাহমুদ। রোববার বেলা ১১টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কবির মরদেহ রাখা হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। এরপর সেখানেই বাদ জোহর জানাযার নামাজ শেষে কবিকে নিয়ে যাওয়া হবে তার শেষ ঠিকানায়। মৌড়াইল কবরস্থানে সমাহিত করা হবে তাকে।

১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই মৌড়াইল মহল্লার মোল্লাবাড়িতে জন্ম নেয়া আল মাহমুদ দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকার কারণে মাঝে-মধ্যে অল্প সময়ের জন্য কবি ছুটে যেতেন মোল্লাবাড়িতে। তবে অভিমান করে বছর খানেক আগে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাতায়াত বন্ধ করে দেন তিনি।

কবির পৈতৃক ভিটায় আগের দিনের একটি চৌচালা ঘর বা রাউডি ঘর ছিল। যখন তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেতেন তখন ওই ঘরে সময় কাটাতেন। তবে সেই ঘরটি ভেঙে এখন ভবন করা হয়েছে। আর এর কারণেই অভিমান করেন কবি। অভিমানের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাতায়াত বন্ধ করে দেন তিনি।

১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া কবি আল মাহমুদ ১৯৭৪ সালে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক থাকাকালে কারাবরণ করেন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদ থেকে অবসর নেন তিনি। সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি একুশে পদক ও বাংলা একাডেমিসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন