'ভুতুড়ে' বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিড়ম্বনায় বলিউড তারকাও

  03-07-2020 03:50AM


পিএনএস ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভোগান্তির মধ্যে আছেন দেশের মানুষ। করোনাকালে হঠাৎ আসা এই বাড়তি বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তৈরি হয়েছে তোলপাড়। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিড়ম্বনা যে শুধু বাংলাদেশেই তা কিন্তু নয়। লকডাউনের মধ্যে বলিউড তারকাদের ঘরে ঘরে এসেছে বিশাল অঙ্কের বিদ্যুতের বিল। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ তারকাদের। কীভাবে কিসের ভিত্তিতে এই অঙ্কের বিল এসেছে বুঝে উঠতে পারছেন না তারকারা।

বিদ্যুতের এই অতিরিক্ত বিল নিয়ে টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক তারকা।

সোহা আলি খান, তাপসী পন্নু, নেহা ধুপিয়া, হুমা কুরেশি, রেণুকা সোহানে থেকে শুরু করে এই তালিকায় রয়েছেন আরও অনেকেই।

অতিরিক্ত বিল পাওয়ার পাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোহা টুইটারে লিখেছেন, বিশাল অঙ্কের বিদ্যুতের বিল পেলাম, এটা কি দিতে হবে? যা বিল আসে, তার তিনগুণ বিল এসেছে। কীভাবে এটা একটু বোঝাবেন দয়া করে? নিজের টুইটটে মুম্বইয়ের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে ট্যাগও করেছেন সোহা আলি খান।

সোহার টুইটের সঙ্গে সহমত পোষণ করে নেহা ধুপিয়া লিখেছেন, আমাদেরও একই অবস্থা। মুম্বইয়ের বিদ্যৎ সরবরাহকারী সংস্থার উদ্দেশ্যে নেহা লিখেছেন, দয়া করে কেউ কি উত্তর দেবেন? নাকি আমাদের অন্ধকারে থাকতে হবে?

হুমা কুরেশি লিখেছেন, কী হিসাবে বিদ্যুতের বিল নেওয়া হচ্ছে বুঝতে পারছি না। গত মাসে দিয়েছি ৬ হাজার টাকা। আর এমাসে ৫০ হাজার! বিদ্যুতের নতুন দাম কত জানাবেন একটু।

অতিরিক্ত বিদ্যুৎ হাতে পেয়ে রেণুকা সাহারে টুইটারে লিখেছেন, গত ৯ মে আমি বিল পেয়েছিলাম, ৫,৫১০টাকা। পরে মে ও জুন মিলিয়ে আমার কাছে বিল এসেছে ২৯,৭০০ টাকা। যেখানে দেখানো হচ্ছে মে মায়ে ১৮,০৮০ চার্জ করা হয়েছে। ৫, ১১০টা কীভাবে ১৮,০৮০ হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না।

তিন মাসের লকডাউন, আর তাপসী পন্নুর ফ্ল্যাটে যে পরিমাণ বিদ্যুতের বিল এসেছে, তাতে চক্ষু চড়কগাছ অভিনেত্রীর। তিনি লিখেছেন, তিন মাসের লকডাউন, তার উপর অ্যাপার্টমেন্টটি কেনার পর গত মাস থেকেই থাকতে শুরু করেছি। তাতেই এত বিল! কীসের হিসেবে, কীভাবে এই বিল ধার্য করা হচ্ছে। আরও একটি টুইটে তাপসী লিখেছেন, এই অ্যাপার্টমেন্টটি কেনার পর থেকে এখানে কেউ থাকে না। শুধু পরিষ্কারের জন্য সপ্তাহে একবার আসা হয়। তাহলে কেউ অ্যাপার্টমেন্টটি ব্যবহার করছেন? সত্যিই চিন্তিত, আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন। তাপসীর ফাঁকা ফ্ল্যাটে তিন মাসের বিল প্রায় এসেছে ৩৬ হাজার টাকা।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন