দীপিকার ফোন জব্দ করলো এনসিবি

  27-09-2020 06:17PM

পিএনএস ডেস্ক: মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলার সূত্রে সঞ্জয় দত্ত কিংবা কৃষ্ণসার হত্যা বা গাড়ি চাপা দেওয়ার মামলায় সালমান খানকে নিয়ে হইচই কম হয়নি। কিন্তু একসঙ্গে একই দিনে এতজনকে ঘিরে টানাটানি পড়েনি। কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় এক ঝাঁক তারকার নাম থাকলেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে এ ভাবে ঝড় ওঠেনি। এরপর আবার কে— এই আতঙ্কের স্রোতও ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে বয়ে যায়নি।

সুশান্ত ইস্যুতে একের পর এক নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। আর একের পর এক ঝল ঘোলা হচ্ছে। মাদক যোগে এরইমধ্যে ডাক পড়েছে বলিউডের একাধিক তারকার, যা এর আগে কখনও হয়নি।

নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি)-র কর্তারা দীপিকা পাড়ুকোনকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ হয় সারা আলি খান আর শ্রদ্ধা কাপুরের। করণ জোহরের প্রযোজনা সংস্থার প্রাক্তন কর্মী ক্ষিতিজ রবি প্রসাদকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে গ্রেপ্তার হয় রিয়া চক্রবর্তীসহ আরও অনেকেই। স্মরণকালে এমন কাঁপুনি ধরানো দিন দেখেনি বলিউড।

দীপিকা কী বলেছেন, এনসিবি আনুষ্ঠানিক ভাবে তা না জানালেও সূত্রের দাবি, দীপিকা বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু এ-ও দাবি করেছেন, তিনি নিজে মাদক নেননি এবং হোয়াটসঅ্যাপে ‘মাল হ্যায় ক্যা’ বলে তিনি যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেটা মাদক নিয়ে নয়। কারিশ্মাও কাল বলেছিলেন, দীপিকা স্বাস্থ্যসচেতন। তিনি মাদক সেবন করেন না।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে একযোগে কাজ করছে সিবিআই, ইডি এবং এনসিবি। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে মাদক যোগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুশান্তের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই সব জিজ্ঞাসাবাদ এবং মোবাইল ফোনের রেকর্ড থেকেই বলিউডের আরও নাম পেয়েছে এনসিবি। উঠে এসেছে ২০১৭ সালের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চ্যাটও। সেখানে উল্লিখিত ‘ডি’ আর ‘কে’-র সূত্র ধরেই দীপিকা আর কারিশ্মাকে তলব।

এরপর দীপিকার ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। কোনও কোনও সূত্রের দাবি, দীপিকা কিছু ক্ষেত্রে জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন বা শেখানো কথা বলছেন বলে মনে হয়েছে এনসিবি-র। প্রয়োজনে তাকে ফের ডাকতে পারে তারা। আর সেই সূত্র ধরে চর্চাটা চলছেই যে জেএনইউয়ে প্রতিবাদী পড়ুয়াদের জমায়েতে একটি বার গিয়ে দাঁড়ানোই কি কাল হল দীপিকার?

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন