পিএনএস ডেস্ক : ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতার জন্য গর্ভাবস্থায় নারীদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ, বিষণ্নতা শনাক্ত করা এবং তাদের চিকিৎসার আওতায় আনাটা জরুরি। কারন গর্ভাবস্থায় মায়েরা বিষণ্ন থাকলে তার প্রভাব সন্তানের ওপর পড়ে।
গর্ভাবস্থায় অখুশি অথবা নানা কারণে বিষণ্নতায় ভুগলে আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। আপনার অনাগত সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। এমনকি প্রতিবন্ধী শিশুরও জন্ম হতে পারে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, অসুখী দাম্পত্য গর্ভবতী মহিলার মনের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে মহিলার শরীরে। মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মারাত্মক প্রভাব পড়ে শিশুর স্বাস্থ্যেও। সাম্প্রতিক নরওয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অসুখী গর্ভবতী মহিলা সংক্রামিত বিভিন্ন রোগের শিকার হতে পারেন। তার সরাসরি প্রভাব পড়ে শিশুর শরীরে।
সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে পেটের সমস্যা এবং কানের সংক্রমণ ঘটতে পারে। শুধু তাই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সহজেই ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসঘটিত রোগ আক্রমণ করে। গর্ভবতী মহিলার শরীর থেকে এই সব রোগ খুব সহজেই শিশুর শরীরে প্রবেশ করে।
গবেষকদের দাবি, উন্নয়নশীল দেশেই এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। লন্ডেনের ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষকরা জানান, সারা বিশ্বে পাঁচজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মধ্যে একজন মহিলার মধ্যে এই প্রবণতা লক্ষ করা যায়। গর্ভাবস্থায় অসুখী থাকলে মহিলার রক্তচাপ বাড়তে পারে। ডায়াবেটিসের শিকার হতে পারেন ওই মহিলা। এর ফলে তিনি জন্ম দিতে পারেন প্রতিবন্ধী শিশু। সময়ের আগেই সন্তানের জন্ম, কম ওজনের শিশু বা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজনের শিশুর জন্ম দিতে পারেন ওই মহিলা।
মায়ের মানসিক অবস্থা সংক্রামিত হয় তার পেটের ভিতর বেড়ে ওঠা শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে। তাই সুস্থ, নীরোগ সন্তান লাভের জন্য সুস্থ রাখতেই হবে মায়ের মন। যে মনে যেন বাসা না বাঁধে কোনও অসুখ।
পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্
গর্ভাবস্থায় মায়ের বিষণ্নতা সন্তানের জন্য ক্ষতিকর
25-10-2016 12:27PM